রাজশাহী: রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল আওয়াল জানান, গতকালকের দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনাটি তদন্ত করে এর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মোছা. হাসিনা খাতুন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আশিশ কুমার ও বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে দুটি খালি ট্রেনের আড়াআড়ি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওয়াশপিটের সামনে সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস ও রাজশাহী থেকে পঞ্চগড়গামী বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেসের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আন্তঃনগর ট্রেন দুটির মধ্যে একটি পরিষ্কারের জন্য ওয়াশপিটে যাচ্ছিল আর অন্যটি ওয়াশপিট থেকে বের হচ্ছিল। সংঘর্ষে ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে ট্রেন দুটি ফাঁকা থাকায় এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আর বিকল্প লাইন থাকায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। এ ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯/৭৭০) ট্রেনটিই শনিবার বিকেল ৪টায় পদ্মা এক্সপ্রেস (৭৫৯/৭৬০) হয়ে রাজশাহী থেকে ঢাকা থাকা যাওয়ার কথা ছিল।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর সংঘর্ষের ঘটনায় লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধার করা হয়। তবে মেরামতজনিত কারণে ধূমকেতু ট্রেনটি শেষ পর্যন্ত ডাউন শিফটে রেখে এ রুটের একমাত্র বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেসের (৭৯১-৭৯২) রেক দিয়ে পদ্মা এক্সপ্রেসকে (৭৫৯/৭৬০) রাজশাহী-ঢাকা রুটে চালানো হয়। এ দুর্ঘটনার কবলে পদ্মা এক্সপ্রেসের নির্ধারিত যাত্রার শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। এতে এ ট্রেনের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৫
এসএস/আরবি