ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বৈশাখ বরণের উৎসবে থাকবেন বন্দীরা, পাবেন পান্তা-ইলিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৫
বৈশাখ বরণের উৎসবে থাকবেন বন্দীরা, পাবেন পান্তা-ইলিশ

ঢাকা: কয়েক ঘণ্টা পরই পহেলা বৈশাখ। বাংলা ১৪৩২ সাল।

আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলা বছরকে বরণ করে নেবে দেশবাসী। দেশবাসীর পাশাপাশি এই পহেলা বৈশাখ বরণের উৎসবে মেতে থাকবেন কারাবন্দীরার। তাদের জন্য থাকবে পান্তা-ইলিশসহ নানা রকম উন্নতমানের খাবার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

রোববার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির বাংলানিউজকে এ কথা জানান।  

তিনি আরো বলেন, পহেলা বৈশাখ-১৪৩২ উপলক্ষে ঢাকা বিভাগের কারাগারগুলোতে বন্দি ও স্টাফদের জন্য দেশীয় সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সকালে বন্দিদের মাঝে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী নাস্তা (পান্তা-ইলিশ, বিভিন্ন ভর্তা) দুপুরে বিশেষ খাবার। বিকেলে বন্দীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাতে আবার বিশেষ খাবারের আয়োজন।  

পহেলা বৈশাখের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় কেরানীগঞ্জ কারাগারে আরপি গেটে বন্দীদের আত্মীয়-স্বজনকে ওয়েলকাম ড্রিংকস, বৈশাখী হাতপাখা দেওয়া হবে। আর বাচ্চাদের জন্য থাকবে চরকি, বৈশাখী ক্যাপ, বেলুন, বাঁশি ইত্যাদি।

কারাগারে কর্মরত স্টাফ ও পরিবার পরিজনের জন্য যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে:
সকাল ৯টায় আবাসিক এলাকার মাঠ হতে বৈশাখী র‍্যালি শুরু করে কারাগারের সামনে দিয়ে আরপি গেট প্রদক্ষিণ করে শেডের সামনে দিয়ে কারারক্ষী ব্যারাক হয়ে আবাসিক এলাকার মাঠে এসে র‍্যালি শেষ হবে।

র‍্যালির সিকোয়েন্স যথাক্রমে ব্যানার পার্টি, কুলা পার্টি, গ্রামীণ ইতিহাস ঐতিহ্য ধারণ পার্টি, ব্যান্ড পার্টি, ঘোড়ার গাড়ি, শাড়ি পার্টি, পাঞ্জাবি পার্টি ইত্যাদি।

সকাল সাড়ে ৯টায় র‍্যালি শেষে স্টাফদের পরিবারসহ আবাসিক এলাকার মাঠের প্যান্ডেলে পান্তা-ইলিশ উপভোগ।  

এরপরে প্রধান ফটকের সম্মুখে কারারক্ষীদের অংশগ্রহণে দেশীয় ঐতিহ্যের ডিসপ্লে। দুপুরে শুধুমাত্র স্টাফদের জন্য উন্নতমানের খাবার বিতরণ।

সন্ধ্যায় আবাসিক এলাকার মাঠে বৈশাখী আমেজে ফারজানা বিথীর উপস্থাপনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রধান আকর্ষণ শিল্পী কোনাল ও লুইপা। এছাড়া থাকছে আকর্ষনীয় র‍্যফেল ড্র।

কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দেশের সব কারাগারেই পহেলা বৈশাখ উৎসবে মেতে থাকবেন বন্দীরা। খাবেন উন্নত মানের খাবার।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ ঢাকা বিভাগের মোট ১৭টি কারাগার ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবিরের তত্ত্বাবধানে। আওতাভুক্ত কারাগারগুলোর মধ্যে রয়েছে—ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কাশিমপুরস্থ চারটি কেন্দ্রীয় কারাগার, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৫
এজেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।