ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ: খায়রুজ্জামান লিটন ও তার স্ত্রী-কন্যার নামে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ: খায়রুজ্জামান লিটন ও তার স্ত্রী-কন্যার নামে মামলা খায়রুজ্জামান লিটন ও তার স্ত্রী-কন্যা/ সংগৃহীত ফটো

ঢাকা: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তার স্ত্রীর ও কন্যার নামে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি জানান, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করার মাধ্যমে অবৈধভাবে ১০ কোটি ৩৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে এবং তার নামীয় ১২টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ৫২ কোটি ২৩ লাখ ১৭ হাজার ২৫১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আসামি শাহীন আকতার পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে স্বামীর সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১১ কোটি ৪১ লাখ ৬২ হাজার ২৪৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ তার নামীয় ১৩টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৭৬ কোটি ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৮০২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় শাহীন আকতার এবং লিটন বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।

এ ছাড়া পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাবার সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ছয় কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৭৮১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ তার নামীয় পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে দুই কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ৫৭৫ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করায় আনিকা ফারিহা জামান এবং বাবা লিটনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় তৃতীয় মামলাটি দায়ের করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
এসএমএকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।