ঢাকা: অবৈধ উপায়ে গবাদিপশুর অনুপ্রবেশ রোধে সরকার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আজকের পর থেকে গবাদিপশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
রোববার (৪ মে) আসন্ন ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল/পরিবহন নিশ্চিতকল্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
ফরিদা আখতার বলেন, আজকে আমাদের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আন্তঃসীমান্তবর্তী জেলাসমূহে গবাদিপশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিজিবি, বাংলাদেশ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সমন্বিতভাবে কাজ করবে। আজকের পর থেকে গবাদিপশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোরভাবে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
কোরবানির পশু পরিবহনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাসে বা পরিবহনে, বাসের লকআপে ছাগল-ভেড়া পরিবহন যেন না করা হয় সে বিষয়ে সচেতনতাসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ পরিহার করতে হবে এবং যথাযথ পরিবহনের মাধ্যমে পরিবহন নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এ ছাড়া কোরবানির পশু সরবরাহের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে। উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ট্রেন ও নৌপথে পশু সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ মেনে চলতে হবে।
গবাদিপশুর হাটে পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সিটি করপোরেশনের যৌথ সহযোগিতায় গবাদিপশুর হাটে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া যত্রতত্র স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে পশু কোরবানির বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।
একইসঙ্গে প্রাণী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপদ মাংস নিশ্চিতকরণে প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ প্রতিপালন করতে হবে। গবাদিপশুর হাট ও পরিবহনের সময় পর্যাপ্ত খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
জিসিজি/আরবি