ঢাকা, সোমবার, ১৭ চৈত্র ১৪৩১, ৩১ মার্চ ২০২৫, ০০ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেরপুরে স্ত্রী-সন্তান ও পুত্রবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২১
শেরপুরে স্ত্রী-সন্তান ও পুত্রবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

বগুড়া: বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় স্ত্রী, সন্তান ও পুত্রবধূকে হত্যার উদ্দেশে বাড়ির দরজা বন্ধ করে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শনিবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের খন্দকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খন্দকারপাড়া এলাকার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে নজরুল চার থেকে পাঁচ বছর আগে বরিশাল জেলায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকে প্রথম স্ত্রী শাহানাজ পারভীনকে কোনো খরচ না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পাঁয়তারা চালাতে থাকেন। সে সঙ্গে নানা হুমকি-ধামকি দেওয়া অব্যাহত রাখেন। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ চরম আকার ধারণ করে।  

এর জের ধরে শনিবার সকাল ৯টার দিকে প্রথম স্ত্রী শাহনাজ পারভীন, ছেলে আবু নোমান ও ছেলের বউ মুক্তা আক্তারকে মারধর করতে থাকে নজরুল। একইসঙ্গে বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর চালান। এ সময় তারা জীবন রক্ষার্থে ৯৯৯ ফোন দেন। এরপর শেরপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধারসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে চলে যায়। কিন্তু আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নজরুল। দুপুরে নজরুল বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়ে স্ত্রী-ছেলে ও পুত্রবধূকে হত্যার উদ্দেশে আগুন ধরিয়ে দেন। তাদের চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী বাহির থেকে আগুন জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

নজরুলের ছেলে ভুক্তভোগী আবু নোমান বলেন, আমাদের হত্যার উদ্দেশে বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়ে বাবা আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তাদের উদ্ধার করেছে।

শাহানাজ পারভীন বলেন, দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে আমাদের বিভিন্নভাবে জীবননাশের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল তার স্বামী নজরুল। সেসঙ্গে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার জন্যও নানামুখী চেষ্টা চালায়। কিন্তু স্বামীর বসতভিটা ছেড়ে না যাওয়ার কারণেই আমাদের হত্যার উদ্দেশে বাহির থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে বাড়িতে আগুন দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।

শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা ৯৯৯ থেকে একটি ফোন পেয়ে জানতে পারি খন্দকারপাড়ায় একটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরবর্তীতে সেখানে আবার বাড়ির দরজা বন্ধ করে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২১
কেইউএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।