ঢাকা: করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত ক্রমেই প্রবল হচ্ছে। করোনার প্রথম আঘাতের বছর ঘুরতেই প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসা সবকিছুতেই আবার অনিশ্চয়তা শুরু।
শনিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকেই ঢাকার বাস টার্মিনালগুলোতে মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে। নিতান্তই ঢাকায় অবস্থানের প্রয়োজন নেই যাদের তাদেরই বাড়ি ফেরার আগ্রহ দেখা গেছে।
এদিন সন্ধ্যা ৭টার পরে মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে স্বাভাবিকের তুলনায় বাড়তি যাত্রীর চাপ দেখা গেছে। লকডাউনের খবরে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকা ছাড়ছেন।
মহাখালী বাস টার্মিনালে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী এনা পরিবহনের বাস কাউন্টারে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে।
কাউন্টারে কর্মরত আরিফ বলেন, হঠাৎ সন্ধ্যার পর থেকে যাত্রী বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহনের কারণে চাহিদা অনুযায়ী বাসের সংকট রয়েছে। এখন আমাদের অলরেডি পাঁচটি বাসের টিকিট বুকড রয়েছে। কয়েকটি বাস ছেড়ে গেলে পরে আবার টিকিট দেওয়া হবে।
পরিবার নিয়ে বাড়ি যেতে বাসের জন্য অপেক্ষমান রওশন আরা নামে এক নারী বলেন, সামনে রোজা আসছে, এখন লকডাউন দিয়ে দিলে পরে কী হয় তার ঠিক নেই। ছেলে-মেয়েদের স্কুল খুলবে বলে জানানো হয়েছিল, এখনতো আর সেই সম্ভাবনা নেই। তাই আপাতত সবাই বাড়ি চলে যাচ্ছি।
কলেজ বন্ধ থাকলেও নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস ও প্রাইভেট পড়ছিলেন ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আতিক। তিনি বলেন, কলেজ খুলবে খুলবে করে খুলেনি। এখন লকডাউনের কারণে ঢাকায় থাকার কোনো কারণ নেই। তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি।
বগুড়া-নওগাঁ রুটে চলাচল করা শাহ ফাতেহ আলী পরিবহনের কাউন্টারে কর্মরত রাসেল আহসান বলেন, যাত্রীর চাপ কিছুটা বেড়েছে। আগামী রোববারও (৪ এপ্রিল) সবকিছু যেহেতু খোলা আছে তাই কাল রাতে যাত্রীর চাপ বেশি থাকবে।
মহাখালী বাস টার্মিনালে গাড়ির যাতায়াত ব্যবস্থাপনার কাজে দায়িত্বরত শরীফ বলেন, লকডাউনের খবরে সন্ধ্যার পর থেকেই যাত্রীর কিছুটা চাপ বেড়েছে। রাতে দূরপাল্লার যাত্রী আরও বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২১
পিএম/আরবি