ঢাকা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করায় রাজধানীর বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
শনিবার (০৩ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর শ্যামলি, কল্যাণপুর, গাবতলী, কাওরানবাজার ও সায়েদাবাদ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
দেখা গেছে, এসব কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবহন শ্রমিকদের। হঠাৎ করে লকডাউনের ঘোষণার পর থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায় বলেও জানিয়েছেন পরিবহন কর্তৃপক্ষ। তবে একটি সিটে একজন যাত্রী বহনের কারণে চাপটা দিগুণ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
এব্যাপারে রাজধানীর শ্যামলিতে অবস্থিত সাতক্ষীরা এক্সপ্রেসের ম্যানেজার জিন্নাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সরকারের ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রী বহন করছি। সিট কমে যাওয়ার যাত্রীদের চাপ দিগুণের চেয়ে বেশি হয়েছে। তবে হঠাৎ লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, আমরা বাস মালিক সমিতির বেঁধে দেওয়া টিকেটের দামেই যাত্রী নিচ্ছি। তবে লকডাউন ঘোষণাটা একটু সময় ধরে দিলে ভালো হতো বলে তিনি মনে করেন।
লকডাউনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই টিকেটের জন্য ফোন আসতে থাকে এবং বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে বলে জানালেন এসপি গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কর্মচারী জয়নাল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এই সময়ের মধ্যে অর্ধেক যাত্রী নিতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে। তবে আমরা যাত্রীদের সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি ।
এদিকে এসব কাউন্টারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে দেখা যায়নি। কাউন্টারগুলোতে অনেকের মুখেই মাস্ক না থাকারও অভিযোগ রয়েছে। তবে কিছু কিছু কাউন্টারে এই সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম নামক একজন যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর পর সাতক্ষীরা ভাড়া এক হাজার টাকা হলেও দু ‘টি টিকেটে আমাকে ১০০ টাকা বেশি দিতে হয়েছে। কাউন্টারের কিছু কর্মকর্তা সুযোগে টিকেটের দাম বাড়তি নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২১
এসএমএকে/এসআইএস