রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) আয়োজনে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেলে নগর ভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
সভায় রাসিক মেয়র বলেন, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবিলায় সরকার সতর্ক অবস্থানে আছে। ইতোমধ্যে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউনে সরকারের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেটি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ের ক্ষতিগ্রস্ত গরিব, অসহায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে দফায় দফায় খাদ্য, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে আবারও সেটি করা হবে। এবার চিকিৎসা ব্যবস্থার কিছুটা সংকট আছে, সেটি পূরণে আমাদের কাজ করতে হবে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য হাইফ্লো অক্সিজেনের সংখ্যা ও বেড সংখ্যা বাড়াতে হবে। হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনার দ্বিতীয় ঢেউকেও আমরা জয় করবো বলে আশা করি।
সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) এ এন এম মঈনুল ইসলাম বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। এবার সেই আতঙ্ক নেই। এর কারণে মানুষ অনেকটা অসচেতন। বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা থেকে বাঁচতে একমাত্র উপায় হলো জনসচেতনতা।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মো. নওশাদ আলী বলেন, রামেক হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য বেড সংখ্যা, হাইফ্লো অক্সিজেন ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বাড়াতে হবে। জনগণের উদাসীনতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দ্রুত রোগ নির্ণয় করার পাশাপাশি আইসিইউ-এর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সরকারি নিদের্শনা যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। আমরা যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি তাহলে করোনা প্রতিরোধ ও মোকাবিলা সম্ভব হবে।
রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. খলিলুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস কীভাবে ছড়ায় সে বিষয়ে সবাই অবগত। শুধু অবগত হয়ে থাকলে হবে না, সচেতনও হতে হবে। করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। নাগরিকদের টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। করোনার সংক্রমণ রোধে প্রতিরোধ ব্যবস্থার পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপরও জোর দিতে হবে।
রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। মহানগর ও জেলার প্রতিটি প্রবেশপথে পুলিশ থাকবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- সিভিল সার্জন ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শাহানা আখতার জাহান, পরিচালক (স্বাস্থ্য) রাজশাহী বিভাগের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীর, আরএমপির এডিসি (সিটিএসবি) শামিমা নাসরিন প্রমুখ।
রাজশাহীর করোনা পরিস্থিতি ও বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি নিদের্শনাসমূহ তুলে ধরেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২১
এসএস/আরবি