ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

পার্শ্ববর্তী দেশকে খুশি করতে ধর্মীয় অধিকারও হরণ করেছে সরকার: রিজভী

  সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
পার্শ্ববর্তী দেশকে খুশি করতে ধর্মীয় অধিকারও হরণ করেছে সরকার: রিজভী

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন পার্শ্ববর্তী দেশকে খুশি করার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অধিকারও হরণ করেছে ডামি সরকার।

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন ইসলামের মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদী মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ইফতার পার্টি করা যাবে না কেন করা যাবে না? আপনারা যে যুগ যুগ ধরে করে আসছেন হঠাৎ এটা মনে পড়লো কেন যে ইফতার করা যাবে না? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়েছে ইফতার করা যাবে না শুধু এটা করেই তারা থেমে থাকেনি তারপরে ছাত্রলীগকে দিয়ে আক্রমণ করাচ্ছে। এটা রমজান মাস মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি অনেক কিছু কাজ করে। এটা সিয়াম সাধনার মাস একটা উৎসবের বিষয়ও আছে। বন্ধু বান্ধব সবাই মিলে ইফতার করতে চায়। এটাও রক্তাক্ত ছাত্রলীগের দ্বারা।

ধর্মীয় অনুষ্ঠান রক্তাক্ত ছাত্রলীগের দ্বারা অভিযোগ করে রিজভী বলেন,অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও এখন রক্তাক্ত ছাত্রলীগের দ্বারা। এটা কেন করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আমরা কিন্তু বুঝতে পারি। আমরা আর মামুদের যে নির্বাচন করেছেন আমি আর ডামির যে নির্বাচন করেছেন যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন সেই প্রভুদেরকে খুশি করার জন্য ইফতারি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আপনি ছাত্রলীগকে দিয়ে সেখানে আক্রমণ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অধিকারও হরণ করছেন।

বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন,সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ যে প্রচণ্ড বাড়ছে এটি শেখ হাসিনা টের পাচ্ছেন এ কারণে ছোট কর্মসূচিতেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব তৈরি করেছেন,আন্দোলন দমানোর মিছিল দমানোর সরকারি যত সরঞ্জাম আছে সব জিনিস নিয়ে হাজির হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কারণ উনি ভালো করেই জানেন ৪টা লেবুর দাম ৮০ টাকা । দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ এখন দিশেহারা। শেখ হাসিনা জানেন মানুষ কতটা ক্ষুব্ধ তার বিরুদ্ধে। মানুষের দ্রোহের আগুন জ্বলছে শেখ হাসিনা এটা ভালো করেই বুঝতে পারছেন। প্রত্যেকটি জায়গায় সরকারি সংগঠনের নেতারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। মন্ত্রীদের ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের বাড়ি গাড়ি সম্পদ রয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়ের একবন নেতা এখন শত কোটি টাকার মালিক। জেলা ছাত্রলীগের নেতারাও দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। যা আমরা গণমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি। ওদের তো খেজুর কিনতে অসুবিধা হয় না ওরা ফাইভ স্টারের খাবার নিয়ে বাড়িতে বসে আছেন।

বাজার সিন্ডিকেটে আওয়ামী লীগের লোক আছে বলেই সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।  

রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগ, আওয়ামী পরিবার ছাড়া কোনো মেধাবীর চাকরি হচ্ছে না। প্রত্যেকটি কারাগার প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বন্দিশালা। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে ভারত পাশে ছিল বলেই অন্য রাষ্ট্রগুলো কিছু করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ভোটার শূন্য নিবার্চন করেছে।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম,বিএনপি'র চেয়ারপার্সনের বিশেষ সরকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস,ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ,নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
টিএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।