ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

চরমপন্থিদের সঙ্গে মিটিং করে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা হচ্ছে: শাহীন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৪
চরমপন্থিদের সঙ্গে মিটিং করে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা হচ্ছে: শাহীন

পাবনা: চরমপন্থিদের সঙ্গে মিটিং করে নীলনকশা কষে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন।

তিনি বলেছেন, নকশাল, সর্বহারা দিয়ে আমাকে হত্যা করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চান বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব।

আমাকে হত্যা করা হলেও আপনারা ভয় পাবেন না। রাজপথে থেকে ওই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে পতন নিশ্চিত করবেন।  

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে সুজানগর পৌরসভার সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে দুপুরের দিকে ঢাকা থেকে সড়কপথে আরিচা-কাজিরহাট ফেরিঘাট হয়ে বিশাল বহর নিয়ে নিজ উপজেলা সুজানগরে আসেন তিনি। এরপর তার অনুসারী নেতা-কর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, কাউকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা যায় না। যার নেতৃত্বে মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে সুজানগরের জনগণ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার না করলে আপামর জনতা রাজপথে তার ব্যবস্থা নেবে।

গত ৮ মে সুজানগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব (মোটরসাইকেল মার্কা) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীন (আনারস মার্কা)। এতে পরাজিত হন শাহীন। এরপর থেকেই সুজানগরে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে।  

গত ২১ জুন রানীনগর এলাকায় আব্দুল ওহাব ও শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আলামিন মিয়া (৩৫) নামে শাহীন গ্রুপের একজন নিহত হন। এ ঘটনার জেরে ওই এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। হামলায় মোজাহার বিশ্বাসসহ ওহাব গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হন। মোজাহার বিশ্বাসের‌ অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার ছয়দিন পর গত ২৭ জুন তার মৃত্যু হয়।  

এ ঘটনায় শাহীনুজ্জামান শাহীনকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। গত সোমবার (৮ জুলাই) উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন নেন শাহীন।

সমাবেশে তিনি বলেন, আব্দুল ওহাব সাহেব আল আমিন হত্যার সময় উপস্থিত ছিলেন। এজন্য নিহতের আত্মীয় স্বজন ওহাবের নামে মামলা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি নিজেই আওয়ামী লীগের সভাপতির নামে মামলা হতে দেইনি। ওহাবের সঙ্গে যোগসাজশে দুদকের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হাফিজ এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলেই হাফিজের নামে মামলা হয়েছে। এই হাফিজের নেতৃত্ব রানিনগরে চারটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এই খুনির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আওয়ামী লীগকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে ওহাব। আল আমিনের খুনিদের সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না।  

সমাবেশে সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদাউস আলম ফিরোজের সঞ্চালনায় ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার সরদারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সুজানগর পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম রেজা, সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক সুবোধ কুমার নটো, সুজানগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার রাজু আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সরদার আব্দুর রউফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস আলী বাদশা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রাজা হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।