ঢাকা, বুধবার, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ মার্চ ২০২৫, ১১ রমজান ১৪৪৬

রাজনীতি

অধ্যক্ষকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ   

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৫
অধ্যক্ষকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ
  

জামালপুর: জামালপুরের ইসলামপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) অধ্যক্ষ ডা. মুজিবুর রহমানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় প্রতিবাদ করতে গেলে ওই ক্যাম্পাসের শাওন আহমেদ রনিসহ ১০ থেকে ১৫ জন মিলে আইএইচটির এক শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস থেকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটিতে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম ইসলামপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী শেরপুরের জেলার ঝিনাইগাতী এলাকায়।  

সোমবার (১০ মার্চ) মধ্যরাতে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনার কয়েকটি ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়েছে।  

পাশাপাশি শিক্ষার্থীকে মারধরের সিসিটিভি ফুটেজও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।  

রোববার (৯ মার্চ) আহত ছাত্রকে প্রথমে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

অভিযোগ উঠেছে, জেলা বিএনপির সহসভাপতি এবং ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল রোববার দুপুরে আইএসটি ক্যাম্পাসে আসেন এবং প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ডা. মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসময় তিনি অধ্যক্ষকে অপমান করেন, যা শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এরপর নবী নেওয়াজ খান লোহানীর  নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতা রনি ও তার সহযোগীরা আইএসটি শিক্ষার্থী আশরাফুলের ওপর হামলা চালান।  

অভিযোগ অস্বীকার করে নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল বলেন, অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি একদম মিথ্যা কথা। ওইখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুটি পক্ষের তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে সমাধান করে দেওয়া হয়েছে।  

শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে ইন্টার্নের কিছু ফেল করা ছেলে অনৈতিকভাবে তাদের পাস করানোর জন্য বলে। তা করতে রাজি হইনি। পরে তারা বিএনপির এ নেতাকে গিয়ে ধরলে তিনি আমার অফিসে আসেন। আসার ১০ মিনিট আগে আমি ছাত্রী হোস্টেলের কাজ দেখতে গিয়েছিলাম। তখন আমার রুমটি তালাবদ্ধ ছিল। তাকে অন্যস্থানে বসতে দেওয়া হয়েছিল। তিনি ছাত্রী হোস্টেলে গিয়ে উত্তেজিত কথাবার্তা বলেন।

এ বিষয়ে ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ওই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন। তিনি বলেন, বিষয়টি জানি না। তবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।