ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২, ০৮ মে ২০২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নওগাঁর নাক ফজলি আম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৪৮, মে ৭, ২০২৫
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নওগাঁর নাক ফজলি আম

নওগাঁ: নওগাঁর বিখ্যাত ‘নাক ফজলি আম’ ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।  

সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় নওগাঁর বদলগাছীর এ আমের জাতটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায়।

এতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বদলগাছীর এ আমের পরিচিতি ও চাহিদা বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবাব ফারহান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ১ মে বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বদলগাছী উপজেলার ‘নাক ফজলি আম’ চাষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোজাফ্ফর হোসেনের হাতে এ সংক্রান্ত সনদ তুলে দেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

তিনি আরও বলেন, বদলগাছীর নাক ফজলি আমের সুখ্যাতি রয়েছে দেশ জুড়ে। স্বাদে মিষ্টি ও সুস্বাদু- যা অন্য অঞ্চলের আম থেকে আলাদা হয়ে থাকে। এটি শুধু একটি সুস্বাদু ফল নয়, এ অঞ্চলের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

এর স্বাদ, পুষ্টিগুণ ও বহুমুখী ব্যবহার সারাদেশে পরিচিতি দিয়েছে।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বদলগাছীর নাক ফজলি আমের পক্ষে জিআই নিবন্ধন পেতে পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করা হয়। এরপর নওগাঁ জার্নাল নম্বর ৫৬ প্রকাশিত হওয়ার পর বিধিবদ্ধ দুই মাস পার হয়েছে। এনিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষ বিরোধিতার নোটিশ দাখিল করেননি। এ অবস্থায় ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের সনদ পায় নওগাঁর বদলগাছীর ‘নাক ফজলি আম’।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছর নওগাঁর ১১টি উপজেলায় ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে। যা থেকে অন্তত চার লাখ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।