গত বছরের জুলাই আন্দোলনে শহীদ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জসিম উদ্দিনের মেয়ে কলেজছাত্রী লামিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি ইমরান মুন্সিকে (১৭) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১১ মে) বিকেল ৫টার দিকে বরিশাল জেলার এয়ারপোর্ট থানা এলাকা থেকে তাকে প্রেপ্তার করা হয়।
প্রেপ্তার ইমরান সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার তিন নম্বর আসামি। তিনি ঘটনার পর থেকে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। বারবার অবস্থানও পরিবর্তন করছিলেন।
এর আগে মামলার তদন্ত শেষে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম গত ১ মে তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন পটুয়াখালীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
প্রসঙ্গত, কলেজছাত্রী লামিয়া আক্তার (১৭) জুলাই আন্দোলনে শহীদ জসিমউদ্দিনের একমাত্র কন্যা। গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় নানাবাড়ি যাওয়ার পথে দুমকি উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকায় সে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার পর ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে দুমকি থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত শাকিব মুন্সি ও সিফাত মুন্সিকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
পরবর্তী সময়ে তদন্তে অভিযুক্ত হিসেবে ইমরান মুন্সির নামও উঠে আসে এবং তাকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তবে এই নির্মম ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ২৬ এপ্রিল ঢাকার শেখেরটেক এলাকায় একটি বাসা থেকে লামিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে গ্রামের বাড়িতে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। ঘটনাটি সারাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
দুমকি থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিলের পর বাদী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমরা মামলার সব আসামিকেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হন লামিয়ার বাবা জসিম উদ্দিন। পরে ১ আগস্ট শহীদ হন।
** জুলাই আন্দোলনের শহীদ জসীমউদ্দীনের মেয়ের লাশ উদ্ধার
** জুলাই শহীদ কন্যা লামিয়ার দাফন সম্পন্ন, জানাজায় রিজভী-সারজিস
এসআরএস