ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী নেপা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গায় ইব্রাহিম হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রোববার (১১ মে) রাত ৯টার দিকে বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ইব্রাহিমকে গুলি করে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
গত ২৪ জানুয়ারি সীমান্তের চোরাচালানের আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হয়েছিলেন বাঘাডাঙ্গা গ্রামের শামিম হোসেন ও তার ভাতিজা মন্টু মিয়া।
ওই জোড়া খুনের দায়ের করা মামলায় বাঘাডাঙ্গা গ্রামের তরিকুল ইসলাম আকালে ও ইব্রাহিমসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় আটক হয়ে কারাগারে ছিলেন ইব্রাহিম। তিনি দুই মাস আগে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, রোববার রাত ৯টার দিকে ইব্রাহিম বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় রফিকুল ইসলাম রাফি ও চঞ্চল মিয়া নামে দুজন তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এদের মধ্যে রাফি জোড়া হত্যার শিকার শামিম হোসেনের ভাই ও মন্টু মিয়ার চাচা।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, জানুয়ারি মাসের জোড়া হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রতিপক্ষ ইব্রাহিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের আটকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
আরএ