কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মামুন নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ৯টার দিকে উপজেলার হরিশংকরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মামুন পেশায় একজন রংমিস্ত্রি।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছেন এলাকাবাসী। স্ত্রী-সন্তানদের ওপর নৃশসং হামলার পর গৃহকর্তা নিজেও গলায় ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, রাতে চিৎকার শুনে পাশের বাড়িতে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। দেখেন, মামুনের দেড় বছর বয়সী মেয়ে জান্নাত ও চার বছর বয়সী মেয়ে কুলসুম রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভেতরে পড়ে আছে আর তার স্ত্রী মেঘলা (২২) রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছেন, মামুনও রক্তাক্ত।
তারা আরও জানান, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করার পর মামুন নিজের গলায় ছুরি চালান।
মামুনের মা সু্ফিয়া বেগম বলেন, আমি বড় নাতনিকে নিয়ে মেয়েন বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ছোট দুই নাতনি বাড়িতেই ছিল। আজ রাতে বাড়িতে ফিরে এসে দেখি এ অবস্থা।
তিনি বলেন, বৌমার সঙ্গে ছেলের ঝগড়া হতো। এর আগে সংসার ছেড়ে মেঘলা আরেক জায়গায় চলে গিয়েছিল। দুদিন আগে মামুন বুঝিয়ে তাকে ফিরিয়ে এনেছে। বাড়ি এসে জানতে পারি, আজও নাকি বৌ মোবাইল ফোনে কার সঙ্গে কথা বলছে। সেটা ছেলে হাতেনাতে ধরে ফেলছে। এরপর বৌ ও দুই মেয়েকে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে সেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, তিনজনকেই ধারালো কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। শিশু দুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। রেফার্ড করার মতো অবস্থায়ও নেই। সাধ্যমত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেঘলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।
এসআই