ঢাকা, শুক্রবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৬ মে ২০২৫, ১৮ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১১ জন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০৯, মে ১৫, ২০২৫
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১১ জন ভারতে কারাভোগ শেষে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে বিভিন্ন সময় আটক হয়ে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরে এসেছেন ১১ বাংলাদেশি নাগরিক।  

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন— ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনসুলার অ্যাসিস্ট্যান্ট ওমর শরীফ, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জি এম রাশেদুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন ওসি আব্দুস সাত্তার, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন, আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মো. মুখলেছুর রহমান এবং ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সিনিয়র অফিসার শিহাবুল হোসেন।

ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন— কুমিল্লার ফারজানা আহমেদ নিপা, ফেনীর মো. ইব্রাহিম, বাগেরহাটের হেলাল জমাদ্দার, রাজশাহীর মো. আকরামুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কবীর শেখ, রাহুল শেখ, মো. আশরাফুল হক, সুমন রানা, বদরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মান্নান ও মো. রুহুল আমিন।

আট থেকে নয় মাস আগে তারা দালালের মাধ্যমে ভারতে গিয়েছিলেন এবং সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন।

ভারতফেরত ফারজানা আহমেদ নিপা বলেন, ‘ভারতে আমার কয়েকজন বন্ধু আছে, তাদের কথা শুনে সেখানে যাই। যাওয়ার একদিন পরই পুলিশ আমাকে আটক করে। প্রায় আট মাস পর দেশে ফিরেছি। পরিবার ছাড়া সময়টা খুব কষ্টের ছিল। আমি চাই, আমার মতো আর কেউ যেন এভাবে অবৈধভাবে ভারতে না যান। ’

ভারতফেরত হেলাল জমাদ্দারের ভাই মো. বেলাল জমাদ্দার বলেন, ‘ভাই হেলাল আট মাস আগে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হন। পরে জানতে পারি, তিনি ভারতে আটক হয়েছেন। সরকারি প্রক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার তিনি দেশে ফিরেছেন, এতে আমরা খুবই খুশি’।

ব্র্যাকের সিনিয়র কর্মকর্তা শিহাবুল হাসান জানান, দেশে ফেরা ১১ জন বাংলাদেশিকে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ও উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশের ত্রিপুরা সহকারী হাইকমিশনের কনসুলার অ্যাসিস্ট্যান্ট ওমর শরীফ বলেন, এরা সাত-আট মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে গ্রেপ্তার হন। পরে আদালতের রায়ে কারাভোগ শেষে তাদের ত্রিপুরার ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়। জানতে পেরে বাংলাদেশ সরকারকে তাদের পরিচয় পাঠাই। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।