ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

পুলিশের উদ্যোগে ৭ জুন ‘জয় বাংলা ম্যারাথন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
পুলিশের উদ্যোগে ৭ জুন ‘জয় বাংলা ম্যারাথন’

ঢাকা: ‘জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে আগামী ৭ জুন ভোর ৫টায় ঢাকার হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪’। দেশের নাগরিকদের সুস্থ ও সক্রিয় লাইফস্টাইল চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে এ ম্যারাথনের আয়োজন করছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে ‘জয় বাংলা ম্যারাথন প্রতিযোগিতা ২০২৪’-এর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন অতিরিক্ত আইজিপি, পিবিআই প্রধান ও বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স অ্যান্ড সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি বনজ কুমার মজুমদার।  

হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশনসহ প্রতিযোগিতার সব আপডেট প্রকাশের লক্ষ্যে তৈরি ওয়েবসাইট (joybanglamarathon.com) উদ্বোধন করেন পিবিআই প্রধান।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাবের উদ্যোগে হাফ ম্যারাথন আয়োজন করা হচ্ছে। ৭ তারিখটি নির্ধারণ করা হয়েছে এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই তারিখটি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণের জন্য বিখ্যাতভাবে স্মরণ করা হয়। ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জনগণকে জাগিয়ে তুলতে এবং স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুক্তিযুদ্ধে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। তাই ৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিকে যাত্রার সূচনার প্রতীক এবং বাঙালি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌমত্বের অন্বেষণে তাদের সাহস, সংকল্প এবং স্থিতিস্থাপকতার স্মারক হিসেবে কাজ করে।

তিনি বলেন, ১৯৬৬ সালের ৭ই জুন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথে এখনো একটি নির্দিষ্ট ‘পয়েন্ট অব রেফারেন্স’। দিনগুলোর তাৎপর্য স্মরণে রাখতে জয় বাংলা ম্যারাথন নামকরণ করা হয়েছে। এই ম্যারাথনের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশি নাগরিকদের একটি সুস্থ ও সক্রিয় লাইফস্টাইল চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা।

প্রতিযোগিতায় চারটি কাটাগরিতে মোট পাঁচ হাজার প্রতিযোগী অংশ নেবেন জানিয়ে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, প্রতিযোগীদের তিন ঘণ্টায় ৪০ মিনিটের মধ্যে ২২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ১০ জনকে পুরস্কার প্রদান দেওয়া হবে। অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে জার্সি, মেডেল ও সার্টিফিকেট। ম্যারাথনের সময় পুরো ট্র্যাকজুড়ে দৌঁড়বিদদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে একাধিক মেডিকেল টিম এবং হাইড্রেশন পয়েন্ট, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনো নারী-পুরুষ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।

পিবিআই প্রধান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাব প্রতি বছর ঢাকা জেলা পুলিশ লাইনস, মিল ব্যারাক, গেন্ডারিয়া, ঢাকায় ৪০০ থেকে ৮০০ মিটার দৌড়সহ কয়েকটি ইভেন্টের আয়োজন করে, যার অংশগ্রহণকারী ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। আমরা বৃহৎ পরিসরে সাইক্লিং অথবা ম্যারাথন আয়োজনের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে একাধিক মিটিং করি এবং কমিটি গঠন করি। ম্যারাথন আয়োজন চ্যালেঞ্জিং হলেও আমরা এর বাস্তবায়নে অনেকদূর এগিয়েছি। সবার সহযোগিতায় এ মেগা ইভেন্ট বাস্তবায়ন করতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি।

‘জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪’-এর সভাপতি ও সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ প্রথমবারের মতো একটি বড় ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের ওপর এই ম্যারাথনের নামকরণ করা হয়েছে। আমরা একটি বিশেষ দিনে ম্যারাথনের আয়োজন করেছি। ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস ৭ জুন। ম্যারাথনে পাঁচ হাজার নারী ও পুরুষ প্রতিযোগী অংশ নিতে পারবেন। সময় কম হলেও আয়োজকদের কার্যপরিধি বিশাল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ‘জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪’-এর সাধারণ সম্পাদক ও ডিএমপির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস) মোহাম্মদ জাযেদুল আলম,  বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
এমএমআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।