ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

খেলা

কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার ইচ্ছা আফিদার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার ইচ্ছা আফিদার

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন কাতার সফরের সঙ্গী হচ্ছেন বাংলাদেশের চার নারী ক্রীড়াবিদ- ফুটবলার আফঈদা খন্দকার ও শাহেদা আক্তার রিপা এবং ক্রিকেটার সুমাইয়া আক্তার ও শারমিন সুলতানা। তারা গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

এবারই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের রাষ্ট্রীয় সফরে সঙ্গী হতে যাচ্ছেন নারী ক্রীড়াবিদদের একটি দল। এ নিয়ে শনিবার (১৬ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেন আফঈদা ও রিপা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সামনে সাংবাদিকদের ডিফেন্ডার আফঈদা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সফরে সুযোগ পেলে কাতারে বাংলাদেশ নারী ফুটবলকে তুলে ধরবেন, সেই সঙ্গে কাতারের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার ইচ্ছার কথাও জানাবেন।

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হতে পেরে দারুণ লাগছে আফঈদার। বিশেষ করে ফুটবল থেকে তারা সফরসঙ্গী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন- এটা তাদের জন্য যেমন গর্বের, সেই সঙ্গে বাফুফের জন্যও সম্মানের।

সাংবাদিকদের আফঈদা বলেন, অবশ্যই খুবই ভালো লাগার। এই সুযোগ তো সবার কাছে আসে না। ফুটবল ফেডারেশনের কাছে এসেছে সেটা অবশ্যই অনেক বড় পাওয়া। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমরা সফর করতে পারব এটা আমাদের জন্য গর্বের। আমরা উনাকে (ড. মুহাম্মদ ইউনুস) এজন্য ধন্যবাদ জানিয়েছি।

সফরে বাংলাদেশের জন্য চাওয়ার সুযোগ থাকলে আফঈদা কাতার নারী ফুটবল দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে চাইবেন বলে জানান। তিনি বলেন, কাতারে ফুটবলে অনেক জনপ্রিয়। সুযোগ পেলে আমাদের নারী ফুটবলের বিষয়টি সেখানে তুলে ধরব। আমরা তো এখানে সেরকম সুযোগ সুবিধা পাই না। ওখানে গিয়ে যদি ক্যাম্প করার সুযোগ পাই, কিংবা কাতার মহিলা দলের সঙ্গে যদি ম্যাচ খেলতে পারি, এসব কিছু বলব।

আফঈদার ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি

এ সফরের জন্য মনোনীত হতে পেরে আপ্লুত আফঈদা। গত বৃহস্পতিবার যখন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আমন্ত্রণ পান, সেটি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি এ সাফজয়ী। এ ব্যাপারে আফঈদা বলেন, উনি আমাদের ডেকে বলেছেন, আমরা তার সফরসঙ্গী হবো। এই বিষয়ে আমার কিছু কিছু ধারণা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত অবশ্য কোনো বিস্তারিত কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি। প্রথমে তো আমরা বিশ্বাসই করতে পারিনি যে আসলেই আমরা তার সফরসঙ্গী হবো। ওখানে গিয়ে বিশ্বাস হয়েছে। এটা জানার পর পরিবারের লোকজনও খুশি হয়েছে। এর থেকে সম্মানের আর কিছু অর্জন করতে পারব কিনা জানি না, যদিও একুশে পদক পাওয়াটাও সম্মানের ছিল। তারপরও এমন রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা অনেক গর্বের।

গর্বের অংশীদার হতে পারতেন সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমরাও। কিন্তু কোচ পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলন করবেন না বলে কয়েক মাস আগে বিদ্রোহ করে বসেন সিনিয়র দলের ১৮ ফুটবলার। এরপর হঠাৎ করেই অধিনায়কের দায়িত্ব পান আফঈদা। স্বাভাবিকভাবেই প্রধান উপদেষ্টার সফরে ডাক পান তিনি। এ নিয়ে সাংবাদিকদের আফঈদা বলেন, এটা নিয়ে আসলে কি বলব… হয়ত আল্লাহ আগে থেকেই এটা ঠিক করে রেখেছেন বলে আমরা এই রকম একটা রাষ্ট্রীয় সফর পেয়েছি।

আফঈদার কথার সঙ্গেই গলা মিলিয়েছেন শাহেদা আক্তার রিপাও। এই ফুটবলার বলেছেন, অবশ্যই ভালো লাগার কথা, যেহেতু স্যার আমাদের মনে করেছেন, এজন্য স্যারকে ধন্যবাদ। আর আমরা প্রথমবার স্যারের সফরসঙ্গী হতে যাচ্ছি, আমরা কাতারে বাংলাদেশ নারী ফুটবল তুলে ধরব।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
এআর/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।