ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটিতে নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটিতে নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা

চট্টগ্রাম: বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর স্প্রিং ২০২৫ (জানুয়ারী-জুন) সেশনের ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ এবং ২০২৪ সেশনের ছাত্র-ছাত্রীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এস.এম শোয়েভ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, বিশেষ ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডিন ও বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর এবিএম আবু নোমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নবীন বরণ ও বিদায়ী অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আবদুল হান্নান।

ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক নওরীন আফরিন, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক তাসনুভা তাহসিন ও আইন বিভাগের শিক্ষক ফরহাত ইসলাম এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সরোয়ার উদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সালাহউদ্দিন চৌধুরী, ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান জাহেদ বিন রহিম, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আজিম উদ্দিন, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া ষ্টাডিজ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইয়াসির সিলমী, প্রক্টর ইনচার্জ ড. মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া ও বিদায়ী শিক্ষার্থী এবং নবীন শিক্ষার্থী।

প্রফেসর ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব বলেন, সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে ততই প্রতিযোগিতা বাড়ছে। নিজের সক্ষমতার উপর নির্ভরশীল হয়ে পরিশ্রমের সঙ্গে পড়াশোনা করতে হবে। শর্টকাট কোনো কিছুর সাহায্যে অর্জিত জ্ঞান স্থায়ী হয় না। পরিশ্রম করলে যোগ্য শিক্ষার্থী হিসেবে তৈরি হওয়া যাবে। শর্টকাট কোনো উপায়ে পড়াশোনা করলে সেই মেধা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। ক্লাসে নিয়মিত হওয়া এবং শিক্ষকদের সহাচার্যে থাকলে নিজেকে দ্রুত তৈরি করা যায়। শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি দক্ষতা অর্জনও করতে হবে। প্রতিযোগিতার এই বিশ্বে নিজেকে যদি দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে অবশ্যই তুমি প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদৃষ্ট ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন আহমদ পিছিয়ে পড়া স্বল্প আয়ের অভিভাবকদের সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজনেও সমানে এগিয়ে আছে এই প্রতিষ্ঠান।

প্রফেসর এবিএম আবু নোমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন,নিজের শেখড় ভোলা যাবে না, নিজস্বতাকে ধারণ ও তুলে ধরতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিজিসির কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা আছে তবে আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। বিজিসির ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মতো প্রতিষ্ঠান আছে বলে প্রাইভেট এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য কমতে শুরু করেছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চমৎকার রেজাল্ট করছে। দেশ বিদেশে বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে স্কলারশিপসহ নানা ডিগ্রি অর্জন করছে। প্রাইভেটের শিক্ষার্থীরা গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। কাজেই নিজেকে দুর্বল ভাবা বা হীনমন্যতায় ভোগার সুযোগ নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এসএম শোয়েভ বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি জায়গা। এখানে নির্বিঘ্নে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে শিক্ষার্থীরা। পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে পরিবারকে গর্বিত করবে শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর পিএইচডি ডিগ্রি ও এমফিল ডিগ্রি অর্জন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ড. রানা করন, ড. মিতা মজুমদার, ড. মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, সৈয়দা সানজিদা শওকত, ধীমান বড়ুয়া, গোলাম শাহরিয়া, ফারহানা নাসরিনকে সংবর্ধিত করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় ,বিশ্ববদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।