ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, ০১ মে ২০২৫, ০৩ জিলকদ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে কৃষিখাত থেকে আলাদা করে সুবিধাবঞ্চিত করা হয়েছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৫১, এপ্রিল ৩০, ২০২৫
‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে কৃষিখাত থেকে আলাদা করে সুবিধাবঞ্চিত করা হয়েছে’ সিভাসু ফিশ ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

চট্টগ্রাম: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে কৃষিখাত থেকে আলাদা করে সুবিধাবঞ্চিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।  

বুধবার (৩০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের যুগপূর্তিতে সিভাসু ফিশ ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের বিদ্যুৎবিল বেশি হওয়ায় উদ্যোক্তা ও খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই খাতের বিদ্যুৎ বিল কমাতে আমরা কাজ করছি।

সিভাসু অডিটোরিয়ামে বেলা ২টায় অনুষ্ঠিত ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ আল নাহিদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আবদুর রউফ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, কক্সবাজার-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নিরিবিলি গ্রুপের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান কাজল এবং এসিআই এগ্রোলিংক লিমিটেডের বিজনেস ডিরেক্টর সৈয়দ এম ইসতিয়াক।  

উপদেষ্টা বলেন, ‘মৎস্যখাতে মুখ্য অবদান রাখছেন আমাদের মৎস্যজীবীরা। মৎস্যজীবীরা না থাকলে নদী আর সমুদ্রভর্তি মাছ থাকলেও আমাদের কোনো লাভ হতো না। ’

সিভাসু কর্তৃপক্ষকে ফিশিং কমিউনিটির সামাজিক অবস্থা উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ফিশারিজ কমিউনিটির সামাজিক অবস্থা যদি উন্নত করা না যায়, তাহলে নতুন প্রজন্ম এই পেশায় থাকবে না। মৎস্যখাতের উন্নয়নে ইন্ডাস্ট্রির ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। এই ইন্ডাস্ট্রিকে আরো সম্প্রসারণ করতে হবে। কারণ সরকার একা অনেক কিছুই করতে পারবে না। আমরা যদি ইন্ডাস্ট্রিকে পাশে পাই, আমাদের মৎস্যজীবীদের যদি আমরা রক্ষা করতে পারি, তাহলে মৎস্যখাতে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে আরো ভালো অবস্থানে থাকতে পারবে।

সিভাসুর উপাচার্য বলেন, ফিশারিজ অনুষদের এই উৎসব ছিল খুবই চমৎকার এবং অত্যন্ত সময়োপযোগী। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ফিশারিজ রিলেটেড এই ধরনের বিশাল আয়োজন এটিই প্রথম। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে অ্যাকাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে এই ধরনের কল্যাবরেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  

অনুষ্ঠানে দুইদিনের ফিশ ফেস্টিভ্যালের সেরা স্টল, সেরা গবেষণা প্রবন্ধ ও পোস্টার উপস্থাপকদের সনদ ও স্মারক দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ শ্রিম্প অ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশন (বিএসএফএফ)-এর সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপী ফেস্টিভ্যালে ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মৎস্য সেক্টরের সাথে জড়িত ৯৫টি প্রতিষ্ঠানের ৫৫০ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, উদ্যোক্তা, ভোক্তা এবং প্রতিনিধি নেন। বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা ৩৫০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৫
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।