কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর বন্ধুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। এতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এখন একেবারেই তলানিতে।
কূটনীতিক বহিষ্কার, বিমান চলাচলের জন্য আকাশপথ বন্ধ করা এর মধ্যে অন্যতম। পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়ায় সশস্ত্র বাহিনীকে ‘সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, ভারত সামরিক পদক্ষেপ নিলে ‘কঠোর জবাব’ দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘যদি কোনো ধরনের দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তবে ২০১৯ সালের মতোই জবাব দেওয়া হবে। ’
এমন আবহে পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বাধতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। যে কারণে দুই দেশের সামরিক সক্ষমতা কেমন - প্রশ্ন উঠেছে।
সামরিক শক্তির দিকে দিয়ে বর্তমান কে এগিয়ে, ভারত নাকি পাকিস্তান?
এ প্রশ্নের জবাব রয়েছে গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের কাছে। বিশ্বে সামরিক শক্তি এবং অস্ত্রশস্ত্র সম্পর্কে ধারণা তুলে ধরে তারা। তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের পরে ভারত বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী সামরিক শক্তি হবে। তুলনামূলকভাবে, পাকিস্তানের অবস্থান কিছুটা পেছনে। ১৪৫টি দেশের মধ্যে ১২-তম অবস্থানে তারা।
প্রতিরক্ষাখাতে ব্যয় বেশি কার
সুইডিশ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে পাকিস্তানের তুলনায় প্রতিরক্ষা খাতে নয় গুণ বেশি ব্যয় করেছে ভারত।
সে প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে, ভারত তার প্রতিরক্ষা খাতে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে, যেখানে পাকিস্তান ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ১০ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি বরাদ্দ দিয়েছে।
সৈন্য সংখ্যা বেশি কার
সেনাসংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে ভারত। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের মতে, ভারতের মোট সক্রিয় সৈন্য সাড়ে ১৪ লাখের কিছু বেশি, অন্যদিকে পাকিস্তানের সৈন্য সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখের কিছু বেশি। রিজার্ভ সেনা বা প্যারামিলিটারি বাহিনীর ক্ষেত্রেও এগিয়ে ভারত।
স্থলভাগের শক্তিতে কে এগিয়ে
সেনাসংখ্যার মতো স্থলভাগের শক্তি বিবেচনায়ও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে ভারত। তবে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি ও মোবাইল রকেট প্রোজেক্টর বা রকেট লঞ্চারের সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি সংখ্যা ৬৬২, ভারতের ১০০। পাকিস্তানের মোবাইল রকেট প্রোজেক্টর ৬০০, ভারতের ২৬৪।
অন্যদিকে ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের সংখ্যায় এগিয়ে ভারত। ভারতের ট্যাংক সংখ্যা ৪ হাজার ২০১টি, সাঁজোয়া যান ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৪টি, টোওড আর্টিলারি বা টেনে নেয়ার কামান ৩ হাজার ৯৭৫টি। পাকিস্তানের ট্যাংক রয়েছে ২ হাজার ৬২৭ টি, সাঁজোয়া যান ১৭ হাজার ৫১৬টি, টোওড আর্টিলারি ২ হাজার ৬২৯ টি।
কার নৌবাহিনী বেশি শক্তিশালী
শুধুমাত্র মাইন ওয়ারফেয়ার ছাড়া নৌবাহিনীর রণতরীর সবদিকেই পাকিস্তানের তুলনায় এগিয়ে ভারত।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের হিসেবে ভারতীয় নৌবাহিনীর মোট ২৯৩টি যুদ্ধজাহাজের মধ্যে রয়েছে দুটি বিমানবাহী রণতরী, ১৩টি ডেস্ট্রয়ার, ১৪টি ফ্রিগেট, ১৮টি সাবমেরিন, ১৮টি কর্ভেট ও ১৩৫টি টহল জাহাজ।
পাকিস্তানি নৌবাহিনীর মোট ১২১টি যুদ্ধজাহাজের মধ্যে বিমানবাহী রণতরী ও ডেস্ট্রয়ার নেই। তাদের রয়েছে নয়টি ফ্রিগেট, আটটি সাবমেরিন, নয়টি কর্ভেট, এবং ৬৯টি টহল জাহাজ।
যুদ্ধবিমানে এগিয়ে কে
আকাশপথের শক্তিতেও বর্তমানে ভারত এগিয়ে। ভারতের বিমানবাহিনীর অধীনে রয়েছে ৩১টি স্কোয়াড্রন, যেখানে প্রতিটি স্কোয়াড্রনে ১৭ থেকে ১৮টি যুদ্ধবিমান থাকে। অপরদিকে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর রয়েছে ১১টি স্কোয়াড্রন।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের কাছে মোট ২ হাজার ২২৯টি বিমান রয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের আছে ১ হাজার ৩৯৯টি।
পাকিস্তানের কাছে আছে ৪১৮টি যুদ্ধবিমান- যার মধ্যে ৯০টি বোমারু বিমান। বিপরীতে ভারতের রয়েছে ৬৪৩টি যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে ১৩০টি বোমারু বিমান।
পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সবচেয়ে কার্যকর দুটি অস্ত্র হলো—যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা এফ-১৬ এবং চীনের সহায়তায় তৈরি জেএফ-১৭ থান্ডার। জেএফ-১৭ হলো হালকা, সব আবহাওয়ায় দিন-রাত ব্যবহারের উপযোগী যুদ্ধবিমান, যা পাকিস্তানের কামরায় অবস্থিত পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স এবং চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রির যৌথ উদ্যোগে তৈরি।
গত কয়েক বছরে ভারতের বিমানবাহিনীতে বড় সংযোজন হিসেবে যুক্ত হয়েছে ফ্রান্স থেকে আনা রাফাল যুদ্ধবিমান। এই বিমান পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং আকাশে ১৫০ কি.মি. দূরত্বে এবং আকাশ থেকে ভূমিতে ৩০০ কি.মি দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে সক্ষম।
এটি ভারতীয় বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত মিরাজ ২০০০-এর আধুনিক সংস্করণ এবং বর্তমানে ভারতের কাছে ৫১টি মিরাজ ২০০০ বিমান রয়েছে।
যুদ্ধবিমানের বাইরেও ভারতের রয়েছে ২৭০টি পরিবহন বিমান, ৩৫১টি প্রশিক্ষণ বিমান, ৬টি রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কার এবং ৯৭৯টি হেলিকপ্টার, যার মধ্যে ৮০টি আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার।
পাকিস্তানের রয়েছে ৬৪টি পরিবহন বিমান, ৫৬৫টি প্রশিক্ষণ বিমান, ৪টি রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কার এবং ৪৩০টি হেলিকপ্টার, যার মধ্যে ৫৭টি আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার।
ভারতের সক্রিয় সামরিক বিমানঘাঁটির সংখ্যা ৩১১টি আর পাকিস্তানের ১১৬টি।
পারমাণবিক অস্ত্র বেশি কার
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে সুইডিশ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ২০২৪ সালের প্রতিবেদন বলছে পারমাণবিক ওয়ারহেডের দিক থেকে দুটি দেশ প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে রয়েছে।
সে প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতে আনুমানিক ১৭২টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে, আর পাকিস্তানে আছে আনুমানিক ১৭০টি।
তবে, দুই দেশের কয়টি ওয়ারহেড ঠিক অপারেশনাল বা প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে, তা ঠিক স্পষ্টভাবে জানা যায় না।
এসআইপিআরআই-এর এর মতে, পাকিস্তান মূলত ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, আর ভারত মনোযোগ দিচ্ছে দূরপাল্লার অস্ত্রের দিকে। অর্থাৎ এমন অস্ত্র যা চীনকেও লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।
চীন, যা ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিবেশী এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তি, ২০২৪ সালে তার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার বা ওয়ারহেডের সংখ্যা ২২ শতাংশ বাড়িয়েছে। এখন তাদের মোট ওয়ারহেড সংখ্যা ৪১০ থেকে বেড়ে ৫০০ হয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বেশি কার
ক্ষেপণাস্ত্রের ধরন ও দূরত্ব পাড়ি দেয়ার সক্ষমতা সম্পর্কে জানা যায় সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থেকে।
পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে ক্ৰুজ, ট্যাকটিক্যাল ও স্বল্প-মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
ট্যাকটিক্যাল ক্ষেপণাস্ত্র যেমন হাতাফ-১ ও নাসের ৬০-১০০ কি.মি দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে আব্দালি (২০০ কি.মি), গজনবি (৩০০ কি.মি), রা'দ (৩৫০ কি.মি), বাবর (৭০০ কি.মি) ও শাহীন-১ (৭৫০-১০০০ কি.মি)।
মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে গৌরি-১ (১৫০০ কি.মি), গৌরি-২ (২০০০ কি.মি), আবাবিল (২২০০ কি.মি), শাহীন-২ ও শাহীন-৩ (২৫০০-২৭৫০ কি.মি) উল্লেখযোগ্য। আবাবিল ও শাহীন-৩ একসাথে কয়েকটি ওয়ারহেড বহনে এবং শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম ।
ক্যানবেরার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্ট্র্যাটেজিক ও প্রতিরক্ষা বিষয়ের শিক্ষক ড. মনসুর আহমদের মতে, আবাবিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র যা একাধিক পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এবং একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
অন্যদিকে ভারতের রয়েছে পৃথ্বী সিরিজ (২৫০-৬০০ কি.মি), অগ্নি সিরিজ (১২০০-৮০০০ কি.মি), নির্ভয়া ও ব্রহ্মোস ক্ৰুজ ক্ষেপণাস্ত্র। অগ্নি-৫ একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র যা সাত থেকে আট হাজার কি.মি পাড়ি দিতে সক্ষম।
ভারতের ধনুষ হলো নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। । ভারতের সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য কে-১৫ বা বি-০৫ (সাগরিকা/শৌর্য) ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ প্রায় ৭০০ কি.মি।
ভারতের সুপারসোনিক ক্ৰুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মোস পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। ২০২২ সালে একটি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ভুলবশত পাকিস্তানে গিয়ে পড়েছিল।
দুই দেশই বাড়িয়েছে ড্রোনের সংখ্যা
ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই তাদের অস্ত্রাগারে সামরিক ড্রোনের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বিদেশ থেকে উন্নত ড্রোন কেনার পাশাপাশি নিজেরাও ড্রোন তৈরি করছে। এসব ড্রোন পাইলট ছাড়া শত্রুর ওপর নজরদারি, গুপ্তচরবৃত্তি ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক রাহুল বেদী বিবিসিকে জানান আগামী দুই থেকে চার বছরের মধ্যে ভারতের কাছে প্রায় পাঁচ হাজার ড্রোন থাকবে। তার মতে পাকিস্তানের ড্রোন সংখ্যা ভারতের চেয়ে কম হলেও, সেগুলোর মধ্যে বৈচিত্র্য রয়েছে যার সক্ষমতার জায়গা ভিন্ন ভিন্ন এবং ১০ থেকে ১১ ধরনের ভিন্ন ব্র্যান্ড বা মডেল রয়েছে তাদের।
২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে ৩১টি ‘প্রেডেটর’ ড্রোন কেনে যেটিকে বিশ্বের সবচেয়ে সফল ও ভয়ংকর ড্রোন বলা হয়। একই সঙ্গে ৫০ কোটি ডলার মূল্যের বোমা এবং লেজার গাইডেড মিসাইলও কেনা হবে।
পাকিস্তানের নিজস্ব তৈরি ড্রোনের মধ্যে আছে ‘শাহপার’ (১, ২, ৩), ‘বুরাক’ ও ‘উকাব’। শাহপার-৩ মাঝারি উচ্চতায় ৩০ ঘণ্টা উড়তে পারে এবং অস্ত্র বহনে সক্ষম। বুরাক ২০১৫ সালে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রথম ব্যবহার করা হয়। উকাব মূলত নজরদারি ও ছোট লক্ষ্যবস্তু শনাক্তে ব্যবহৃত হয়।
রাহুল বেদীর মতে, পাকিস্তান তুরস্ক এবং চীন থেকে ড্রোন আমদানি করে। তবে, এটি জার্মানি এবং ইতালি থেকেও ড্রোন কিনেছে।
এর আগে তিনবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করে ভারতীয় সেনারা। এছাড়া সীমিত পরিসরে ১৯৯৯ সালে যুদ্ধ বাধে ভারত-পাকিস্তানের, যা কারগিল ওয়ার নামে পরিচিত। প্রথমবারের মতো পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ্যে আসে সেবার।
২০১৯ সালেও বড় যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়। সে সময় ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক হামলায় ৪০ জনের বেশি নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হওয়ার পর ‘লাইন অব কন্ট্রোল’ অতিক্রম করে পাকিস্তানের সীমানার ভেতরে হামলা করে ভারত।
উভয় দেশের বিমানবাহিনীর মধ্যে সীমিত সংঘর্ষ হয়েছিল সে সময়। ওই সংঘর্ষে ভারতের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান। এরপর পাকিস্তান সেই যুদ্ধবিমানের পাইলটকে ফেরত দেয়, যার প্রেক্ষিতে উত্তেজনা থামে।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ