ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩২, ০৬ মে ২০২৫, ০৮ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নীতিগত সংস্কার ও  শুল্ক কমাতে ভারতকে চাপ দেবেন ট্রাম্প 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০৪, মে ৫, ২০২৫
নীতিগত সংস্কার ও  শুল্ক কমাতে ভারতকে চাপ দেবেন ট্রাম্প  ছবি সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে প্রস্তাবিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে বেশ কিছু নীতিগত পরিবর্তনের জন্য চাপ দিতে পারে বলে জানিয়েছে থিঙ্কট্যাঙ্ক গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই)।

এসব পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে শুল্ক কমানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে নীতি ও নিয়ন্ত্রণগত সংস্কার।

যেগুলো বাস্তবায়িত হলে মার্কিন কোম্পানি ও রপ্তানিকারকরদের জন্য লাভজনক হবে।

কৃষিখাতে যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, ভারত যেন চাল-গমের মতো প্রধান ফসলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) কমায়, জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (জিএম) খাদ্যশস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় এবং কৃষি শুল্ক হ্রাস করে।

ডেইরি বা দুগ্ধখাতে, আমেরিকার অভিযোগ— ভারতের জিএম-ফ্রি ফিড সার্টিফিকেশন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ প্ল্যান্ট নিবন্ধনের কড়াকড়ি আসলে আমেরিকান দুগ্ধপণ্যকে কার্যত নিষিদ্ধ করে রাখছে।

ভারতীয় নিয়ম অনুযায়ী, যেসব পশু প্রাণিজ উৎস থেকে তৈরি খাদ্য খায় (যেমন গরুকে মাংস খাওয়ানো), সেসব পশুর পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ— ধর্মীয় অনুভূতির কারণে।

জিটিআরআই-এর প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ভারত এই নীতিকে সম্পূর্ণ অপরিবর্তনী মনে করে বলে মনে করে। ”

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র চায় যে ভারতের ই-কমার্স খাতে, বিশেষ করে আমাজন ও ওয়ালমার্টের মতো আমেরিকান রিটেইল জায়ান্টদের ওপর যে কড়াকড়ি রয়েছে, সেগুলো শিথিল করা হোক। বর্তমানে, ভারতে বিদেশি মালিকানাধীন ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর জন্য ইনভেন্টরি ভিত্তিক ব্যবসা (নিজস্ব পণ্য মজুদ করে বিক্রি) নিষিদ্ধ।

ভারত এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে অনিচ্ছুক, কারণ এতে দেশের ছোট ব্যবসায়ীরা বিশাল বাজেটধারী বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না।

অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ভারত এটিকে কেবল স্থানীয় রিটেইলারদের সুরক্ষার বিষয় নয় বরং একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল খাতে নিজেদের নীতিনির্ধারণী স্বাধীনতা রক্ষার অংশ হিসেবেও দেখে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় আমদানি ব্যবস্থাকে জটিল এবং ব্যয়বহুল বলে সমালোচনা করছে, বিশেষ করে পুরনো ও রিম্যানুফেচার্ড যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে।

ভারত এসব পণ্যের জন্য টেকনিক্যাল সার্টিফিকেট, পরিমাণগত সীমাবদ্ধতা ও অন্তত পাঁচ বছরের অবশিষ্ট কার্যকাল থাকার নিশ্চয়তা দাবি করে।

ভারতের যুক্তি হলো— নতুন ও পুরনো প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য না করলে, দেশে পুরোনো ও অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তির 'ডাম্পিং' হতে পারে, যার ফলে স্থানীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

শ্রীবাস্তব বলেন, আলোচনায় যতই অগ্রগতি হবে, যুক্তরাষ্ট্র ততই ভারতের শুল্ক, মানদণ্ড, ডিজিটাল নীতি এবং পরিষেবা খাতে প্রবেশাধিকার নিয়ে বড় পরিবর্তনের জন্য চাপ দিতে থাকবে।

সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (ইন্ডিয়া)

এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ