ঢাকা, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৬ মে ২০২৫, ১৮ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়ালো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৫৫, জানুয়ারি ৪, ২০২০
ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়ালো

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা ও আশপাশের অঞ্চলে মৌসুমি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। ফলে এখনও ঘরে ফিরতে পারেননি কয়েক হাজার মানুষ। এরমধ্যেই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মারা যাওয়ার খবর আসায় বাড়ছে মৃত মানুষের সংখ্যা। শেষ খবর পর্যন্ত যা ৫৩ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বন্যার পানি না নামায় এখনও প্রায় দুই লাখ মানুষ ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ।

আর বন্যার পানিতে আটকা পড়াদের উদ্ধারে ভাসমান নৌকায় অভিযান চালাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা।  

শনিবার (০৪ জানুয়ারি) সকালে দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে, এছাড়া বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছে। অগাস উইবো নামে সংস্থাটির এক কর্মকর্তা জানান, আমরা আরো মরদেহ উদ্ধার করেছি।

এদিকে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গেছেন দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো দুর্গত এলাকার লোকজনে পরিপূর্ণ। পাতলা কাপড় বিছিয়ে তাদের রাখা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে অসংখ্য শিশু।

অন্যদিকে অসময়ে ইন্দোনেশিয়ায় ভারী বর্ষণ ও বন্যা পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। এ থেকে পরিত্রাণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।  

** ইন্দোনেশিয়ায় ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ‍বৃষ্টি, মৃত বেড়ে ৪৩

গত ৩১ ডিসেম্বর রাত থেকে জাকার্তা ও এর আশপাশের অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। যা থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে। এতে বৃষ্টিপাত ২০ বছরের বেশি সময়ের রেকর্ড ভেঙেছে।  

জাকার্তায় এক কোটি মানুষের বাস এবং জাকার্তা মহানগরজুড়ে বাস করেন প্রায় তিন কোটি মানুষ। এপ্রিল মাসে বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বন্যা আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকে এ অঞ্চল।

এর আগে ২০০৭ সালে মৌসুমি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় রাজধানী জাকার্তায় অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এছাড়া পাঁচ বছর আগে নদনদীগুলো পানিতে টইটম্বুর হয়ে গেলে বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।