ঢাকা, শুক্রবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৬ মে ২০২৫, ১৮ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

জার্মানি কেন বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের পরিকল্পনা করছে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:২৩, মে ১৬, ২০২৫
জার্মানি কেন বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের পরিকল্পনা করছে?

জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেছেন, যদি পর্যাপ্ত সংখ্যক মানুষ স্বেচ্ছায় দেশটির সেনাবাহিনীতে যোগ না দেয়, তাহলে দেশটি বাধ্যতামূলকভাবে সেনা নিয়োগ আবার শুরু করতে পারে।

২০১১ সালে জার্মানি বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগ বাতিল করে।

কিন্তু সম্প্রতি রাশিয়ার ‘হুমকি’ অজুহাতে তা আবার চালু করার কথা দেশটি বিবেচনা করেছে। সংবাদমাধ্যম এন-টিভি থেকে জানা গেছে, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টি এবং চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যাৎসের দল খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটরা তাদের জোট চুক্তিতে তথাকথিত ‘সুইডিশ মডেল’ চালু করতে রাজি হয়েছে। যা বাধ্যতামূলক এবং স্বেচ্ছাসেবী সেনা নিয়োগকে এক করে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিস্টোরিয়াস বুধবার বুন্ডেস্ট্যাগে এক ভাষণে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে স্বেচ্ছাসেবার ওপর নির্ভর করব বলে আমরা সম্মত হয়েছি। প্রাথমিকভাবে স্বেচ্ছাসেবক এবং তরুণদের তাদের দেশের সেবা করার জন্য উৎসাহিত করা হবে।  

তিনি জোর দিয়ে বলেন, পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে না পারলে তা বাধ্যতামূলক করা হবে।

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, মাঝারি এবং দীর্ঘমেয়াদে কর্মীদের স্তর শক্তিশালী করা হবে, যেন জার্মান সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা এবং জোটের প্রতিরক্ষা দুটির জন্যই টেকসই হয়ে ওঠে। তার মতে, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে সামরিক পরিষেবার জন্য আবেদন ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। জার্মানি ২০৩১ সালের মধ্যে সক্রিয় সেনাসংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজার থেকে বাড়িয়ে দুই লাখেরও বেশি করার পরিকল্পনা করছে।

এর আগে ২০২৩ সালে সেনা নিয়োগ ৭ শতাংশ কমে যায়। কারণ, তখন তরুণদের আকৃষ্ট করতে জার্মান সেনাবাহিনীকে কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছিল। ফলে কিছু রাজনীতিবিদ নিয়োগের লক্ষ্যগুলোকে অবাস্তব বলে প্রচার করেন।

জার্মানি যুদ্ধরত ইউক্রেনকে ভারী অস্ত্র সরবরাহ করেছে। সেসবের মধ্যে রয়েছে লেপার্ড-২ ট্যাঙ্ক। রাশিয়ার সঙ্গে জার্মানি সংঘাতে জড়িত, এমন কথা দেশটি অস্বীকার করেছে। জার্মানির শীর্ষ জেনারেল কার্স্টেন ব্রুয়ার মার্চ মাসে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে বলেন, তার দেশ পূর্ণযুদ্ধ এবং সম্পূর্ণ শান্তির মাঝামাঝি একটি ‘ধূসর অঞ্চলে’ আছে। গত জানুয়ারিতে লিথুয়ানিয়া সফরকালে পিস্টোরিয়াস দাবি করেন, রাশিয়া ২০২৯ বা ২০৩০ সালে ন্যাটোর উপর ‘তাত্ত্বিক আক্রমণ’ করার জন্য তার সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করতে পারে।

ন্যাটো জোটভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা রাশিয়া অস্বীকার করেছে। ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টরাস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করাকে ম্যাৎস সমর্থন দেন। এরপর জার্মানির বিরুদ্ধে বিপজ্জনক উত্তেজনা সৃষ্টির অভিযোগ তোলে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত দেশটি যুক্তি দেয়, এমন অত্যাধুনিক অস্ত্রের চালান জার্মানিকে সংঘাতে সরাসরি অংশগ্রহণকারী করে তুলবে।

এমএইচডি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।