ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহারের নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহারের নির্দেশ পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ, ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট অবসারপ্রাপ্ত জেনারেল পারভেজ মোশাররফকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের আইনি প্রক্রিয়া ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে ওই আদেশ প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া বিশেষ আদালতের বৈধতার বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করেন মোশাররফ।

এ প্রেক্ষিতে সোমবার লাহোর হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন।

এ রায়ের পর এক প্রসিকিউটর বলেন, এ নির্দেশের অর্থ জেনারেল মোশাররফ এখন ‘একজন স্বাধীন মানুষ’।

সরকারি প্রসিকিউটর ইশতিয়াক এ. খান বলেন, অভিযোগ দায়ের, আদালতের নিয়ম-নীতি, প্রসিকিউশন টিম নির্বাচন, এসবই অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। এর মানে সম্পূর্ণ রায়ই বাতিল হয়ে গেছে।

গত ১৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত মোশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। ওই রায়ে বলা হয়েছিল, ‘পলাতক/আসামিকে (পারভেজ মোশাররফ) গ্রেফতার করে সাজা কার্যকর করায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সর্বোচ্চ চেষ্টার আদেশ দিচ্ছি আমরা। যদি এ সাজা কার্যকরের আগে তিনি মারা যান, তবে তার মরদেহ টেনে ইসলামাবাদের ডি-চকে এনে তিন দিন ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ’

তিন সদস্য বিশিষ্ট এ বিশেষ আদালতে ছিলেন পেশোয়ার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার শেঠ, সিন্ধ হাইকোর্টের বিচারক নাজার আকবর এবং লাহোর হাইকোর্টের বিচারক শহীদ করিম। তাদের মধ্যে বিচারক নাজার আকবর মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করে রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়া, বিচারক শহীদ করিম মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ব্যাপারে একমত হলেও মোশাররফের মরদেহ টেনে এনে ঝুলিয়ে রাখার ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেন।

বিতর্কিত এ রায় নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায় পাকিস্তানজুড়ে। অবশেষে এ রায় প্রত্যাহার করা হলো।

২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা ঘোষণার দায়ে পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়।

৭৪ বছর বয়সী মোশাররফ ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসন করেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২০১৬ সালের মার্চে চিকিৎসার জন্য দুবাই যান সাবেক এ সেনাপ্রধান। এখনো তিনি দুবাই রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।