ঢাকা, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৬ মে ২০২৫, ১৮ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কুলভূষণ যাদবকে অন্য মামলায় যুক্ত করছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫৬, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
কুলভূষণ যাদবকে অন্য মামলায় যুক্ত করছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের কুলভূষণ যাদব

ভারতের কুলভূষণ যাদবকে পাকিস্তান অন্য একজন বন্দীর মামলার সাথে যুক্ত করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি তারা জানায়, মুহাম্মদ ইসমাইল নামে ভারতীয় একজন নাগরিক বর্তমানে পাকিস্তানের জেলে আছেন।

তার জেলের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরেও তিনি ছাড়া পাননি। এজন্য পাক আইনজীবী শাহনাওয়াজ নুনকে নিয়োগ করে ভারত। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবী কুলভূষণ যাদবের বিষয়টি টেনে আনেন। অথচ দুটি মামলা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, পাক প্রশাসনের চাপে পড়েই আইনজীবী শাহনাওয়াজ নুন এমন ব্যবহার করেছেন। এই আইনজীবীকে শুধুমাত্র ভারতীয় বন্দী মুহাম্মদ ইসমাইলকে মুক্তি এবং প্রত্যাবাসনের মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল, অন্য কোন বিষয়ে নয়।

এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, শুনানি চলাকালীন আইনজীবী মিথ্যা ও এখতিয়ার বহির্ভুত কথা বলেছেন। এছাড়া পাক প্রশাসনের চাপে পড়েই আইনজীবী এমন ব্যবহার করেছেন। শুনানির সময় কুলভূষণের প্রসঙ্গ হঠ্যাৎ করেই উত্থাপন করা হয়। যদিও দুটি মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। ফলে পাকিস্তানের আইনজীবী এবং আদালত ভারতের অবস্থানের ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। বর্তমানে কুলভূষণের মামলাটি চলছে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে।

এর আগে চরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তান ২০১৬ সালে বালুচিস্তান থেকে গ্রেফতার করে কুলভূষণ যাদবকে। তবে ভারত সরকার পাকিস্তানের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। ভারত জানায়, কুলভূষণকে ইরানের চাবাহার বন্দর থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। ২০১৭ সালের শুরুতেই এক পাক সামরিক আদালত ভারতীয় নৌসেনার এই প্রাক্তন অফিসারকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল। ওই বছরই, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে মামলা করেছিল ভারত। অভিযোগ করেছিল, কুলভূষণকে কনস্যুলার অ্যাক্সেস দেওয়া হচ্ছে না। সেইসঙ্গে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল পাক সামরিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়কেও। আন্তর্জাতিক আদালত ভারতের সে দাবি মেনে নিয়েছিল।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
এইচএমএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।