ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ভারতে ২৪ ঘণ্টায় দুজনকে পিটিয়ে হত্যা! 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ভারতে ২৪ ঘণ্টায় দুজনকে পিটিয়ে হত্যা! 

ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ভারতের পাঞ্জাবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।  

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) পাঞ্জাবের অমৃতসরে স্বর্ণমন্দিরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একজনকে পিটিয়ে হত্যার করা হয়।

এর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পাঞ্জাবের কাপুরথালা জেলায় আরেকজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠল।  

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ভোরে কাপুরথালা জেলার নিজামপুর গ্রামে গুরুদোয়ারায় এক ব্যক্তিকে আটক করে স্থানীয় জনতা। ওই ব্যক্তি নিশান সাহিব বা শিখদের পতাকা অবমাননা করেছিলেন বলে অভিযোগ তুলে মাধরর করা হয়।  

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক ব্যক্তিকে হেফাজতে নেয়। তখন শিখ দলগুলো তাদের সামনে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা ওই ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।  

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হচ্ছে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।  

এর আগে শনিবার স্বর্ণমন্দিরে সান্ধ্য প্রার্থনা চলার সময় রেলিং পেরিয়ে পবিত্র জায়গায় ঢুকে পড়েন এক যুবক। শিখদের পবিত্র গ্রন্থ ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’ ঢেকে রাখা রুমালে পা দিয়ে ছুটে গিয়ে পাশে থাকা তরবারি তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তখন তাকে আটক করে আশেপাশে থাকা মানুষজন। পরে মন্দিরে উপস্থিত লোকজন তাকে বাইরে নিয়ে এসে পিটিয়ে হত্যা করেন।  

অমৃতসর পুলিশের উপকমিশনার পরমিন্দর সিং ভানদাল বলেন, শনিবার সন্ধ্যার দিকে পূজা অর্চনার সময় মাথায় হলুদ কাপড় বাঁধা ২০ বছর বয়সী এক তরুণ সেখানকার বেড়া থেকে লাফিয়ে পড়েন। ভেতরে থাকা লোকজন তাকে আটক করেন এবং করিডরের বাইরে নিয়ে আসেন। সেখানে গণপিটুনিতে ওই তরুণ মারা যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।