ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মুরগির বাজারে ফিরছে স্বস্তি

সুব্রত চন্দ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৩
মুরগির বাজারে ফিরছে স্বস্তি

ঢাকা: প্রায় দুই মাস ধরে দেশের মুরগির বাজারে অস্থিরতার পর স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। প্রকারভেদে কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মুরগির দাম।

ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা দরে।

গত চারদিন আগেও ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল এ পোল্ট্রি পণ্য। রোববার (২৬ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের হাঁস-মুরগির বাজারে গিয়ে নতুন মূল্যের এ তথ্য পাওয়া যায়।

জানা গেছে, গত চারদিন আগে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছিল ৩৯০ টাকা কেজি দরে। আজ সেটি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। ৩৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সাদা কক মুরগি আজ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। পাকিস্তানি কক মুরগির দাম ৩৬০ টাকা; চার দিন আগের বিক্রি ৪২০ টাকায়। ৩৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া লেয়ার এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।

সম্প্রতি মুরগির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে নড়ে-চড়ে বসে তদারকি সংস্থাগুলো। মুরগির দাম নিয়ে বিরাজমান অস্থিরতা কমাতে দেশের বড় চার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মুরগির অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির বিষয়ে শুনানি শেষে ফার্ম থেকে সর্বোচ্চ ১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয় প্রতিষ্ঠান চারটি। এরপর থেকেই বাজারে কমতে থাকে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম।

দাম কমার বিষয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা বাবু বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে মুরগি কিনি। সেখানে দাম কমলে আমরাও কমে বিক্রি করতে পারি। দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়াতে হয়। আজ থেকে দাম কমছে, আগামী কয়দিনে আরও কমতে পারে।

একই বাজারে দুটি ভিন্ন দামে ব্রয়লার বিক্রির কারণ জানতে চাইলে মঞ্জু নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, কেউ কাপ্তান বাজার থেকে মুরগি কিনে, আবার কেউ অন্য বাজার থেকে। তাই দামের কিছুটা হের-ফের আছে। আবার কেউ আজকে সকালে কেনা মুরগি বিক্রি করছে, তো কেউ দুই দিন আগেরটা বিক্রি করছে। আজকে যারা নতুন মুরগি কিনেছে, তারা ২১০ টাকা দরে বিক্রি করছে, যাদের কাছে আগের মুরগি ছিল তারা ২২০-২৩০ টাকা দরে বিক্রি করছে।

কয়েকজন বিক্রেতা মুরগির দাম আগামীতে কমার কথা বললেও কয়েকজন দাম বাড়ার আশঙ্কার কথা জানালেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিক্রেতা বলেন, ফার্ম মালিকরা ইচ্ছা করে মুরগির উৎপাদন কমিয়ে দাম বাড়িয়েছে। সরকার ঠেলা দেওয়ায় তারা এখন দাম কিছুটা কমিয়েছে। কিন্তু আবার ২০ রমজানের পর মুরগির বেড়ে যাবে।

বাজারে স্বস্তি ফিরলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি মুরগির ক্রেতারা। মো. জামাল হোসেন নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, দাম কিছুটা কমেছে ঠিকই, কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য এটা যথেষ্ট নয়। ব্রয়লার মুরগির দাম ১৩০-১৪০ টাকা কেজি হলে সাধারণ মানুষের জন্য ঠিক হতো। কিন্তু মুরগিসহ সবকিছুর দাম বেশি।

শাহানা আক্তার নামের এক ক্রেতা বলেন, দাম বাড়ানোর সময় ১৩০-১৪০ টাকা বাড়িয়েছে। আর কমানোর সময় মাত্র ৭০-৮০ টাকা কমালে হবে? এভাবে তো সাধারণ মানুষ টিকতে পারবে না। সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর সুযোগ নেয়।

কারওয়ান বাজারে প্রতি পিস কবুতর ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। যা আগেও এ দামই ছিল। পিস প্রতি ১০০ টাকা কমেছে হাঁসের দাম। বর্তমানে প্রতি পিস হাঁস আকারভেদে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৩
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।