ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এবার কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে শিক্ষকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২৩
এবার কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে শিক্ষকরা

ঢাকা: জাতীয়করণের দাবিতে টানা ২১ দিন অবস্থান কর্মসূচির পর শোকের মাসের শুরুতে রাজধানীতে অনশনে বসেছেন বেসরকারি বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক শিক্ষকরা।  

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা ২২ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করে কোনো ধরনের আশ্বাস না পাওয়ায় এ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা।

শিক্ষকরা বলছেন, এখানে মারা যাব তবুও দাবি আদায় না হলে প্রেসক্লাবের সামন থেকে সরে যাব না।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে প্রেসক্লাবের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন শিক্ষকরা। তাদের অনেকেরই শরীরে জড়ানো কাফনের কাপড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে শিক্ষকদের সংখ্যাও। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পল্টন থেকে হাইকোর্ট অভিমুখী সড়কের কদম ফোয়ারা পর্যন্ত রাস্তার একপাশ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেছেন, জাতীয়করণ শিক্ষকদের আজকের দাবি নয়। আমরা দীর্ঘদিন যাবত এ দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি তুলে ধরতে। প্রধানমন্ত্রী ৫ মিনিট সময় দিলে আমরা আমাদের দাবির বিষয়টি তুলে ধরতে পারব।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এটি আমাদের রুটি-রুজির বিষয়, আমাদের অস্তিত্বের বিষয়। আমাদের আন্দোলন থেকে সরানোর জন্য নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। আমাদের সাফ কথা, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবির সুস্পষ্ট সমাধান কিংবা প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষাৎ না পাব ততক্ষণ প্রেসক্লাব এলাকা ছাড়ব না। প্রয়োজনে এখানে মারা যেতে রাজি।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ডাকে গত ১১ জুলাই থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন হাজারো শিক্ষকরা। এর মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর দফায় দফায় ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও শিক্ষকরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরও কোনো সমাধানে আসতে পারেনি শিক্ষকরা। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষকরা জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা বা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ মিনিটের সাক্ষাৎ চান তারা।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২৩
ইএসএস/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।