ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শব্দদূষণ রোধ না করলে মানুষের শ্রবণ সমস্যা বাড়বে: উপমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
শব্দদূষণ রোধ না করলে মানুষের শ্রবণ সমস্যা বাড়বে: উপমন্ত্রী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার

ঢাকা: শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে প্রায় শতভাগ মানুষের শ্রবণে সমস্যা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

তিনি বলেন, চালকরা অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত শব্দ সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদেরও ক্ষতিগ্রস্ত করছেন।

এখনো সময় আছে, সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সবাই একযোগে কাজ করতে পারলে আমরা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।  

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) শব্দদূষণ রোধকল্পে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশেষ কর্মসূচি চলাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ বলেন, শব্দদূষণের কারণে যে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা অনেকে জানে না। চালকদের সচেতন করতে পারলে তারা শব্দ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকবেন।  

তিনি বলেন, এক গবেষণায় দেখা গেছে, শব্দদূষণের কারণে ২ শতাংশ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়, মানুষের স্বাস্থ্যহানি ঘটে, প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্ম হয়, নবজাতকদের বিকাশে বাধাগ্রস্ত হওয়াসহ অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। নিজেদের টিকে থাকার জন্য, পরিবেশের মান উন্নয়নের জন্য শব্দ দূষণ রোধ করতেই হবে।  

কর্মসূচি চলাকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানূর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদসহ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্ল্যাকার্ড নিয়ে সচিবালয়ের গেটে অবস্থান নেন। এ সময় তারা চালকদের অপ্রয়োজনীয় শব্দ সৃষ্টি না করতে অনুরোধ করেন এবং বিভিন্ন গাড়িতে শব্দদূষণ রোধে সচেতনতামূলক স্টিকার বিতরণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।