ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের অভ্যন্তরে ‘গাঁজা’র বাগান!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৪
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের অভ্যন্তরে ‘গাঁজা’র বাগান! ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল

ফরিদপুর: ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের অভ্যন্তরে গাঁজার বাগান। যদিও কেউ বলছেন এটি গাঁজার গাছ, কেউ বলছেন ভাংগাছ।

তবে সবাই বলছেন দুটি গাছই নেশাজাতীয়। দিনের পর দিন কয়েকশ গাঁজার গাছ বেড়ে উঠলেও তা চোখে পড়েনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

একশ বছরের প্রাচীন ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটি গত কয়েক বছর ধরে ধুঁকছে নানা সমস্যায়। তারপরও জেলা সদরের মুজিব সড়কে অবস্থিত এ হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন কয়েকশ রোগী। রোগীর ভিড়ে হিমশিম খান ডাক্তাররা। এ কারণে হয়তো হাসপাতালের অভ্যন্তরে খেয়াল করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের অভ্যন্তরে যান চলাচলের রাস্তার পাশেই গড়ে উঠেছে কয়েকশ গাঁজা কিংবা ভাংগাছ।  

জেনারেল হাসপাতালের উত্তর দিকে স্টাফ কোয়ার্টারের পথের পাশে ও হাসপাতালের উত্তর পাশে শত শত গাঁজার গাছের বেড়ে ওঠা কেউ দেখতেই পাননি। অনেকে বলছেন, বছরের পর বছর ধরে এভাবেই গাঁজা কিংবা ভাংগাছগুলো বেড়ে উঠেছে।

হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দারা জানালেন, প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে এই গাঁজার গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। আগে আরও বেশি ছিল। অনেক গাছ কেটে তারা পরিষ্কার করেছেন। তারপর আবার হয়েছে। সবার সামনেই বেড়ে উঠেছে। কিছু ছেলেপুলে এগুলো ছিঁড়ে নিয়ে রস করে খায় বলে তাদের জানিয়েছে। এতে নাকি কাশি ভালো হয়।

তারা জানালেন, এমন গাছ হাসপাতালের অভ্যন্তরে রয়েছে। এছাড়া জেলখানার সড়কের পাশে, শহরের রাস্তার ধারে কিছু কিছু জায়গায়ও এ গাছের দেখা মেলে। তবে এ গাছগুলো অনেকটা দুপুরিয়া ফুলগাছের মতো দেখতে হওয়ায় ফুলগাছ ভেবে কাটা হয় না।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাদকসেবী যুবক বলেন, এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ভাংগাছ। অনেক গাঁজাগাছও রয়েছে। তবে এত ছোট গাছ থেকে পাতা নিয়ে শুকিয়ে নেশা করা যায় না। গাছগুলো আরও বড় হয়ে পক্বতা পেলে তা দিয়ে নেশা করা যেতে পারে।  

এ ব্যাপারে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এটা গাঁজা গাছ কি-না সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হবে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে "ওয়্যাল ভাং" বা 'বন্য ভাং' শ্রেণির উদ্ভিদ। তবে এগুলো কেটে সংরক্ষণ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে। সেখানকার রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে বলা যাবে এটা কি গাছ।

এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, গাছগুলো কাটার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া মাঝে-মধ্যেই গাছগুলো কাটা হয়। আবার এমনিতেই গজিয়ে যায়। সময়মতো লেবার না পাওয়ায় এবার কাটতে দেরি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।