ঢাকা, রবিবার, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৫
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) চার মাস ১২ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। বাক্সগুলোয় পাওয়া টাকাগুলো ২৮টি বস্তায় ভরা হয়।

টাকা গণনা করে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যার আগে গণনা শেষে দানের টাকার এ হিসাব পাওয়া যায়। এর আগে শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ এবং সন্ধ্যার আগে টাকা গণনার কাজ শেষ হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন-কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার
(এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ আরো অনেকেই।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

টাকা গণনা কাজে পাগলা মসজিদ মাদরাসা, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদরাসার ২৫০ জন ছাত্র, রূপালী ব্যাংকের ৭০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির সদস্যসহ
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। এছাড়াও সার্বিক তদারকি ও নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সেনা সদস্য, পুলিশ
সদস্য ও আনসার সদস্যরা।

সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়। এবার চার মাস ১২ দিন পর দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়েছে। টাকা গণনা শেষে এবার ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও দানকৃত গবাদি পশু ও অন্যান্য সামগ্রী নিলামে বিক্রি করে টাকাগুলো মসজিদের
অ্যাকাউন্টে জমা রাখা হয়।

এর আগে, সর্বশেষ গত বছরের ৩০ নভেম্বর মসজিদের দান বাক্স (সিন্দুক) খুলে গণনা করে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়াও
স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনি প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৫
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।