ঢাকা: রাজধানীর শান্তিনগরের ‘ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার’ শপিং মলে আগুন কীভাবে লাগলো প্রশ্নে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ধারণা করছি বেইজমেন্ট থেকে আগুন লেগেছে। এটা আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে।
সোমবার (৫ মে) রাতে ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারের আগুন নেভানোর পর ঘটনাস্থলে ব্রিফিংকালে এই কথা জানান তিনি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা ৬টা ৪৭ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ৭টা ৪৭ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণ করি। বিভিন্ন ধরনের ৯টি ইউনিটের সহযোগিতায় আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রিন কোজি কটেজের মতো ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারের দুর্ঘটনা থাামিয়ে দিই। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা খুব দ্রুত ভবনে আটকে পড়া ভুক্তভোগীদের নামিয়ে আনতে সক্ষম হই।
কোনো হতাহতের খবর আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো নিহত এবং আহতের কোনো খবর পাইনি। আমরা আশা করছি এমন কিছু ঘটেনি।
তিনি আরও বলেন, ভবনটি মিক্সড অকুপেন্ট বিল্ডিং ছিল। এখানে শপিংমল ছিল, রেস্তোরাঁ ছিল, অফিস ছিল, আবাসিক ভবন ছিল। আবাসিক ভবনে যদিও আমরা অনেক ফ্ল্যাট খালি দেখেছি, তারপরও সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন মানুষ ছিল। আর নিচে প্রায় ১০০ এর কাছাকাছি মানুষকে আমরা নিরাপদে রাখতে পেরেছি এবং নামিয়ে আনতে পেরেছি।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক বলেন, শুরুতে আমাদের ভিড় সামলাতে একটু বেগ পেতে হয়েছে। পরের দিকে স্থানীয়রা আমাদের সহযোগিতা করেছেন, কথা শুনেছেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আর্মি, পুলিশ, ওয়াসা ছিল। আমাদের সব রকম প্রস্তুতি ছিল।
তিনি আরো বলেন, আমরা একটি বিষয় স্মরণ করতে চাই, এই বেইলি রোডে একটি পুকুর রয়েছে। যেটি গ্রিন কোজি কটেজের সময় আমাদের অনেক সাপোর্ট দিয়েছে। আজকে ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারকে অগ্নিমুক্ত করতেও এই পুকুরটি অনেক সাপোর্ট দিয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে ৬টা ৫৮ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ৩টি ইউনিট। এরপর একে একে যোগ দেয় আরো ৬টি ইউনিট। মোট ৯টি ইউনিটের প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ৭টা ৪৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরে রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নেভান তারা।
আরও পড়ুন>>ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারের আগুন নিয়ন্ত্রণে, উদ্ধার ১৮
এসসি/এসএএইচ