‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের আহ্বানে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কয়েকশ বিক্ষোভকারী।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা নাগাদ এই অবস্থান কর্মসূচির আহ্বান করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এসময় তারা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে, একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’, আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’। এসব স্লোগান দিতে থাকে।
এসময় স্লোগান ধরেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম। পরে নিজেই স্লোগান ধরেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এরপর তিনি বলেন, ৫ আগস্ট আমরা যে ভুল করেছি, আজ আমরা তা সংশোধন করতে এসেছি। আমাদের ম্যান্ডেট দুই হাজার শহীদ এবং ২৫ হাজার আহত। আওয়ামী লীগকে গণহত্যাকারী, রাষ্ট্রদ্রোহী এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আমরা যমুনার সামনে থেকে উঠব না।
তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তা বলার ম্যান্ডেট আপনার নেই। আমরা আপনাকে সম্মান করি। যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে, আমরা এখান থেকে উঠব না।
হাসনাত আরও বলেন, আপনারা আমাদের থামাতে পারবেন না। জুলাইয়ে আমাদের জীবন আমরা বাংলাদেশের জন্য ওয়াক্ফ করে দিয়েছি। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে। তবে আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গে সমগ্র বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ।
এদিকে বিক্ষোভের কারণে যমুনার সবগুলো সড়ক বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ। এছাড়াও রাস্তায় বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও র্যাবের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর কাকরাইল মোড়, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, মিন্টু রোডের মোড় থেকেই পুলিশ যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে।
এফএইচ/আরএ