ঢাকা: আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবি আদায়ে অনড় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড় আটকে আন্দোলন করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কাকরাইল মোড়ে তীব্র যানজট দেখা যায়।
রাত ৯টায় সরেজমিনে দেখা যায়, নয়াপল্টন থেকে কাকরাইল, মিন্টো রোড থেকে কাকরাইল ও শান্তিনগর মোড় থেকে কাকরাইল অভিমুখে রাস্তাগুলোয় যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে। মৎস্য ভবন মোড় থেকে কাকরাইল মসজিদ মোড় পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকায় সেসব সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো ঘুরে কাকরাইল হয়ে চলাচল করছে। এতে কাকরাইল মোড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, দুই দিন ধরে কাকরাইল মসজিদ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। একই কথা বলেন বাসচালকরাও।
এদিকে তিন দফা দাবিতে বুধবার (১৪ মে) দিনভর আন্দোলনের পর রাতেও শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান করেন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন সংলগ্ন কাকরাইল এলাকায় অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আরও শিক্ষার্থী যোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে দলে দল আসেন তারা। মৎস্যভবন মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস দিয়ে সড়ক বন্ধ করে দেন তারা। এছাড়া কাকরাইল মসজিদ মোড়েও ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক বন্ধ করে দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক ছেড়ে যাবেন না।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে দাবি আদায়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে (বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন) যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে বুধবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মৎস্যভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিং মোড়ে এলেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই লংমার্চে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও লাঠিপেটায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন অনেকে।
তাদের তিন দফা দাবি হলো- আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি আগামী অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।
আরও পড়ুন>> দাবি মেনে নিলে ২ মিনিটে ক্যাম্পাসে ফিরবো: শিক্ষক সমিতির সম্পাদক
এসসি/এসএএইচ