ঢাকা: ফের করোনা পরিস্থিতি অবনতির হওয়াতে দুই সপ্তাহের জন্য অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। নির্দেশনা মেনে সড়কে গণপরিবহন চলায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
বুধবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাস সংকটে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর মিরপুর ১, ২, ১০, ১১, ১২ নম্বর, কাজী পাড়া, শেওড়া পাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, ফার্মগেট এলাকায়।
বিকল্প পরিবহনের যাত্রী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন, সবকিছু খোলা রেখে বাসে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে গিয়ে যাত্রীরা পড়েছেন বিপদে। মোড়ে মোড়ে মানুষের জটলা বেঁধে বাসের জন্য অপেক্ষায় কতোটা নিশ্চিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি? শুধু বাসে অর্ধেক যাত্রী যাতায়াত করলেই কি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব হবে? মৃত্যুর ও আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে।
যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা সবাই পরিবার-পরিজন নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে চাই। কিন্তু সরকার স্বাস্থ্যবিধির নামে যে দ্বিগুণ ভাড়া গণপরিবহনের চালু করেছে এতে করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের যাত্রীদের গণপরিবহন ব্যবহার করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি, আমাদের তো বেতন বৃদ্ধি পায়নি। এতে করে আমাদের জন্য বাড়তি ভাড়ায় গণপরিবহন ব্যবহার করা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিকল্প পরিবহন বাসের কন্ডাক্টর মো. বিল্লাল বলেন, যাত্রীরা এক সিটে বসে যাত্রা করছেন। সকালে যাত্রীদের চাপ ছিল। যাত্রী অনুযায়ী বাস কম থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। দুই একজন যাত্রী নির্দেশনা অনুযায়ী সিটে বসতে চাচ্ছে না। বাকি সব যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন।
সরোজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর বাসস্ট্যান্ড গুলোতে যাত্রীদের বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়। গণপরিবহন গুলো বাসস্ট্যান্ডে আসলে দুই-এক জন যাত্রী নিয়ে চলে যাচ্ছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। স্ট্যান্ডে একটি বাস আসলে বাসে উঠতে হুড়োহুড়ি করতে দেখা যায় যাত্রীদের। বেশিরভাগ যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে বাসে উঠতে পারছেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২১
এমএমআই/জেআইএম