ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২, ০৬ মে ২০২৫, ০৮ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

গুলশানের বাসভবনে খালেদা জিয়া

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:২৭, মে ৬, ২০২৫
গুলশানের বাসভবনে খালেদা জিয়া পায়ে হেঁটে বাসভবনে প্রবেশ করেন খালেদা জিয়া। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল

গুলশান থেকে: দীর্ঘ চার মাস পর দেশে ফিরে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় উঠেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে তিনি ওই বাসায় পৌঁছান।

সেখানে পৌঁছালে আগে থেকে অবস্থানরত শত শত দলীয় নেতা-কর্মী তাকে স্বাগত জানান।  

সরেজমিনে দেখা যায়, গাড়িবহর বাসভবনে পৌঁছানোর প্রায় ১০ মিনিট পর প্রধান সড়কে গাড়ি থেকে নেমে খালেদা জিয়া বাসভবনে ঢোকেন। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা নেতা-কর্মীদের ভিড়ের মাঝখান থেকে তাদের প্রটোকল দিয়ে বাসভবনের ভেতর নিয়ে যান। দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী ফাতেমাকে বাসভবনে ঢুকতে দেখা যায়। তিনিও বিএনপি প্রধানের সঙ্গে গিয়েছিলেন লন্ডনে।

এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাকে বহনকারী গাড়িটি বিমানবন্দর ছাড়ে। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত পুরো পথে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান বিএনপির নেতা-কর্মীরা।  

‘খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘খালেদা, জিয়া’, ‘তারেক, রহমান’, ‘খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’সহ নানা স্লোগান দেন নেতা-কর্মীরা। তাদের কেউ হাতে ফুল, কেউ ব্যানার-প্ল্যাকার্ড, কেউ-বা খালেদা জিয়ার ছবিসংবলিত টি-শার্ট পরে ছিলেন।

নেতা-কর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবরে সকাল থেকেই বিএনপির শত শত নেতা-কর্মী গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়ি ‘ফিরোজা’র সামনে সামনে জড়ো হন। সেখানে নিরাপত্তা জোরদারে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।  

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে উৎফুল্ল দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তারা বলছেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারাগারে ছিলেন। ন্যায়বিচার পাননি। তাকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। কারাগার থেকে মুক্তি দিলেও গৃহবন্দী করে রাখা হয়। তাকে নেতাকর্মীদের থেকে দূরে রাখা হয়।  

খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে নেতাকর্মীরা বলছেন, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। তার নেতৃত্বে আমরা সব বাধা অতিক্রম করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।

ছবি: জিএম মুজিবুরলন্ডন থেকে দোহা হয়ে ঢাকা
লন্ডনে চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশ সময় সোমবার (৫ মে) রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেয়। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান পুত্র তারেক রহমান।

উড়োজাহাজটি মাঝে কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতি করে। এরপর বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোর ৬টা ৫ মিনিটে বিশেষ ওই উড়োজাহাজ দোহা বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করে।

চিকিৎসা নিয়েছেন যেখানে
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হলে বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগতে থাকা খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার পথ উন্মুক্ত হয়। গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যান তিনি। সেখানে পৌঁছানোর পর তাকে লন্ডন ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালটিতে তিনি ১৭ দিন প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি এবং অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৫ জানুয়ারি থেকে তিনি তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন।

এসএমএকে/টিএ/আরকেআর/এমএমআই/ইএসএস/এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।