ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২, ০৬ মে ২০২৫, ০৮ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

সুস্থ খালেদায় জাগলো বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:০৬, মে ৬, ২০২৫
সুস্থ খালেদায় জাগলো বাংলাদেশ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরেছেন বেগম খালেদা জিয়া

ঢাকা: চার মাস চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে সুস্থ হয়ে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমানের হাতে হাত রেখে নিজ বাসভন ফিরোজায় উঠেছেন পায়ে হেঁটে।

তার এই পায়ে হাঁটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে।

সুস্থ হয়ে ওঠা খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক পদক্ষেপ কি হতে পারে, সেটি যদি অনুমানের চেষ্টা করা হয়, দেখা যায়— দলের অভ্যন্তরীণ পুনর্গঠন ও নেতৃত্ব পুনর্বিন্যাস; তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্দলীয় নির্বাচনের দাবিকে পুনর্জীবিত করা; আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠন; তারেক রহমানকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক ভারসাম্য তৈরি ও সামাজিক যোগাযোগ ও মাঠ পর্যায়ে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে মনোযোগী হতে পারেন তিনি।

কেননা, দীর্ঘদিন বিদেশে ও অসুস্থ থাকায় বিএনপির নেতৃত্বে একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। খালেদা জিয়া এখন সেই নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারেন। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে তার সক্রিয় উপস্থিতি দলের ঐক্য ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারে। তিনি আগেও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন সামনে রেখে তিনি নির্বাচনী রোডম্যাপ, শর্ত এবং বিরোধী দলগুলোর ঐক্যের বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেন।

খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ ও সহায়তার দাবি তুলতে পারেন, বিশেষত জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোর কাছে। এ ছাড়া তিনি নিজের সরাসরি নেতৃত্বের বাইরে থেকে দল পরিচালনায় তারেক রহমানকে সমর্থন দিয়ে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব স্থানান্তরের জন্য জনমত তৈরি করতে পারেন। এতে রাজনৈতিক উত্তরাধিকার কাঠামোকে সুসংহত করা সম্ভব হবে। দীর্ঘদিন পর খালেদা জিয়া মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় হলে তা বিএনপির কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। তিনি গণসংযোগ, জনসভা বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে সরাসরি জনগণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিতে পারেন।

তাছাড়া তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হতে পারে—আন্দোলন ও নির্বাচনের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করে দলকে সংঘাত নয়, কৌশলগত লড়াইয়ের পথে এগিয়ে নেওয়া।

গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া মানুষের প্রাণের দাবি ওঠে। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে ড. ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পরও কী যেন এক শূন্যতা ঘিরে ধরেছিল বাংলাদেশের মানুষকে। ১৭ বছর ভোট না দিতে পারা সাধারণ মানুষ ব্যালটে সিল দেওয়া জন্য মুখিয়ে ছিল। ড. ইউনূসের ৯ মাসে ব্যালটের প্রসঙ্গ যেন হারিয়ে যেতে বসেছিল। তাই আতঙ্কিত মানুষ খালেদা জিয়াকে ঘিরে আবার আশাবাদী হয়ে উঠেছে। তাকে ঘিরে আবার ভোটের মাঠে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তীব্র হয়েছে মানুষের। মঙ্গলবার (৬ মে) দেশের মাটিতে যখন খালেদা জিয়ার বিমান অবতরণ করলো, তখনই এক নিশ্চিত আশার বাতিঘর হয়ে উঠলেন তিনি। যেন আন্তর্জাতিক নানা ষড়যন্ত্র থেকে নিরাপদ হয়ে উঠেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় কাতার রাজপরিবারের একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে লন্ডনে চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশ সময় সোমবার (৫ মে) রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেয়। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান পুত্র তারেক রহমান।

উড়োজাহাজটি মাঝে কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতি করে। এরপর বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোর ৬টা ৫ মিনিটে বিশেষ ওই উড়োজাহাজ দোহা বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করে।

তার আগে গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যান খালেদা জিয়া। সেখানে পৌঁছার পর তাকে লন্ডন ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালটিতে তিনি ১৭ দিন প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি এবং অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৫ জানুয়ারি থেকে তিনি তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন।

এরও আগে এক-এগারোর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা। তবে মামলাগুলোর বিচার সম্পন্ন হয় পরে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। ২০১৮ সালে এই মামলায় তাকে দণ্ডিত করে কারাগারে পাঠানো হয় এবং পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে তার সাজা বৃদ্ধি করা হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রক্রিয়াটি ছিল ক্ষমতাসীন সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ, যার লক্ষ্য ছিল খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা। তাকে এক পর্যায়ে রাজনীতি ছাড়ার বা দেশত্যাগের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। কিন্তু তিনি কোনো প্রস্তাবই গ্রহণ করেননি। ফলে তার কারাবরণ হয়ে ওঠে দেশে গণতন্ত্র সংকটের প্রতীকী প্রতিফলন। প্রায় তিন বছর কারাগারে কাটানোর পর, ২০২১ সালের মার্চে করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে এরপর প্রায় চার বছর তিনি ছিলেন নানা শারীরিক জটিলতা এবং চিকিৎসাজনিত সীমাবদ্ধতায়। দেশে থেকেই চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়েছে তাকে। কারণ, তাকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

২০২৪ সালে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ঘোষণার মাধ্যমে তার মুক্তির পথ সুগম হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার সাজা বাতিল হয় এবং উচ্চ আদালতের রায়ে তিনি খালাস পান। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান।

লন্ডরের চিকিৎসকরা গ্রিন সিগন্যাল দেওয়ার পর খালেদা জিয়ার দেশের ফেরার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়। তার এই স্বদেশ ফেরত যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের মোড় ঘুরিয়ে দিতে যাচ্ছে, তা অনুমেয় ছিল। সেটি পরিষ্কার হলো তখন, যখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের স্ত্রী বিমানবন্দরে নেমে নেতাকর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েলেন। তাকে দেখা গেছে হাস্যোজ্জ্বল। তাকে পেয়ে নেতাকর্মীরাও হয়েছেন প্রাণচঞ্চল। যদিও এমন কোনো ইঙ্গিত এখনো মেলেনি যে খালেদা জিয়া রাজনীতিতে ফিরবেন, বা নির্বাচন নিয়ে কোনো দিক নির্দেশনা দেবেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসে ভুগলেও উন্নত চিকিৎসার ফলে তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নত।

লন্ডনফেরত দলীয় প্রধান ও দেশের আপসহীন নেত্রীকে দেখকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিমানবন্দর থেকে গুলশানে তার বাসভবন পর্যন্ত রাস্তায় হাজারো দলীয় নেতাকর্মীর ভিড় ছিল। সকাল থেকেই সড়কের পাশে অবস্থান নেন তারা। কেন্দ্র ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী বিএনপির নেতাকর্মী-সমর্থকরা রাস্তার দুই ধারে অবস্থান নেন তাকে একবার দেখবেন বলে। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর স্লোগান ও দলীয় পতাকা হাতে নেতাকর্মী-সমর্থকরা তাকে স্বাগত জানান।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০১৭ সালের পর রাজপথে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ না করা বেগম জিয়ার প্রত্যাবর্তন রাজনীতিতে নতুন মাত্রা তৈরি করতে পারে। তাদের মতে, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার ও এর প্রধান শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নতুন রাজনৈতিক কাঠামোয় খালেদা জিয়ার সক্রিয়তা বিএনপিকে একটি সংঘবদ্ধ ও কার্যকর রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

ব্যালটকে ঘিরে জনমনে দীর্ঘ প্রতীক্ষা থাকলেও, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনের অনিশ্চয়তা নিয়েও আলোচনা চলছিল। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপির শীর্ষ নেত্রীর প্রত্যাবর্তন ভোটমুখী রাজনীতিকে গতিশীল করতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। বিশ্লেষকরা আরও বলেছেন, দীর্ঘ অনুপস্থিতি এবং চিকিৎসাজনিত নিষ্ক্রিয়তার পর খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা বিএনপির নেতৃত্ব কাঠামো এবং জাতীয় রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সহায়ক হতে পারে। তার রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ কেবল বিএনপির জন্য নয়, বরং দেশের সামগ্রিক রাজনীতিতে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

শুধু যে বিএনপি, তা নয়। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও দীর্ঘদিন ধরে তার ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলেন। এমনকি, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও তার রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনকে একটি নতুন দিগন্ত হিসেবে দেখছেন। কবি ও এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইয়েদ জামিল খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এই মহিয়সীর কাছেই শিখেছি শত বিপর্যয়েও কীভাবে স্বদেশের মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকতে হয়। ধৈর্য্য কাকে বলে শিখেছি। শিখেছি সহনশীলতার রাজনীতি। ’

বিশিষ্ট সাংবাদিক আনিস আলমগীর তার এক ফেসবুক পোস্টে খালেদা জিয়ার ফিরে আসা প্রসঙ্গে লিখেছেন, তার ফিরে আসা শুধু একজন রাজনীতিকের প্রত্যাবর্তন নয়, এটি ২০২৪ পরবর্তী গণঅভ্যুত্থানে টালমাটাল বাংলাদেশের জন্য এক নীরব বার্তা। তার অবস্থান হবে একটি ছাতার মতো— যেখানে দলীয় ঐক্য, পরামর্শ ও কৌশলের ছায়া মিলবে। তিনি এখন আর কেবল একজন রাজনৈতিক নেত্রী নন, বরং এই জাতির অভিভাবকতুল্য একজন ‘জাতীয় মুরব্বি’।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপির নেতৃত্বে আসা খালেদা জিয়া সামরিক শাসনের সময় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ফলেই এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। এরপর থেকে তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। এক-এগারোর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের হওয়া মামলায় তাকে কারাগারে যেতে হয়। ২০১৮  থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি একাকী কারাগারে কাটিয়েছেন। করোনাকালে নির্বাহী আদেশে বাড়ি ফিরতে পারলেও মুক্তি পাননি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের ক্ষণ পরবর্তী খালেদা জিয়ার মুক্তি দেশের গণতন্ত্রের মুক্তি বলেও মন্তব্য করেছেন অনেক বিশ্লেষক।

এসবিডব্লিউ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।