ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

সারাদেশ

দেশে একটি নির্বাচিত সরকার দ্রুত আনা প্রয়োজন: আব্দুস সালাম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৫
দেশে একটি নির্বাচিত সরকার দ্রুত আনা প্রয়োজন: আব্দুস সালাম

বগুড়া: জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অবস্থা বিবেচনায় দেশে একটি নির্বাচিত সরকার দ্রুত আনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বগুড়ায় সাংগঠনিক সফরে এসে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন বলেন, ‘নির্বাচন ঠেকাতে যাইয়েন না। জনগণের রায়কে পেছাতে চাইয়েন না। তাতে ষড়যন্ত্র কিন্তু বাড়বে। এখনও কিন্তু সীমান্তের ওপারে বসে আছে পরাজিত ফ্যাসিবাদ। তিনি এখনও নিজেকে নির্বাচিত সরকারের প্রধান মনে করে। কীভাবে মনে করে? কোন সাহসে সেটা বলে? এই কারণেই বলি সেই সাহসের বাঁধ ভেঙে দিতে হলেই অতি দ্রুত একটি নির্বাচিত সরকার দরকার। ’

সাংগঠনিক পর্যালোচনার সভা আয়োজনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে আব্দুস সালাম বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের আগে আমরা প্রকাশ্যে কোনো সম্মেলন করতে পারিনি। আমাদের নেতা-কর্মীরা বাড়িঘরে থাকতে পারেননি। এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সারা দেশে সংগঠনকে আরও মজবুত এবং শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। দেশের সব জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়নকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচন করা হচ্ছে। বিভিন্ন জেলার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

আব্দুস সালাম আরও বলেন, যারা নির্বাচন পেছাতে চান, তার মধ্য দিয়েই ফ্যাসিবাদকেই আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার কোনো ষড়যন্ত্র কিনা, আমরা সেটা জানি না। শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখনও তিনি নির্বাচন দেননি। এখনও অনেকে ভয় পাচ্ছেন যে নির্বাচন যদি দেওয়া হয় তাহলে আবার বিএনপি ক্ষমতায় চলে আসবে। সেই কারণে নির্বাচন পেছাতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে জনগণ কাকে নির্বাচিত করবে সেটি জনগণের ব্যাপার। তাই আগের ফ্যাসিবাদের মতো জনগণের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাইলে সেটি গণতন্ত্রের ভাষা না।

দেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য বিএনপির জন্ম হয়েছিল উল্লেখ করে আব্দুস সালাম বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে, সেখানেই বিএনপি সার্থক হয়েছে। যেখানে শেখ মুজিব ব্যর্থ হয়েছেন, সেখানেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সার্থক হয়েছেন। যেখানে শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছেন, সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন সার্থক হয়েছেন।

ব্রিফ শেষে তিনি রাজশাহী বিভাগের সব জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পর্যালোচনা সভায় অংশ নেন।

সাংগঠনিক পর্যালোচনা সভায় অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিম, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জাহির রায়হান আহমেদ, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন।

পর্যালোচনা সভাটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম এবং অপর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।