ফরিদপুরের সদরপুরে ধর্ষণের পর শেফালী বেগম (৫০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে তাহমিনা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে মামলার বিষয়টি সদরপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হাসান নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের ছলেমানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শেফালী বেগম ছলেমানা গ্রামের বাসিন্দা শফি খালাসীর স্ত্রী।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের খালাসী ডাঙ্গী গ্রামের মোমরেজ খালাসী ও তার দুই সহযোগী শনিবার দিবাগত রাতে শেফালীর বাড়িতে গিয়ে দোচালা টিনের ঘরে আড্ডা দেন। কিছুক্ষণ পর মোমরেজ শেফালীকে তার বসতঘরে নেন। একপর্যায়ে শেফালী অসুস্থ হয়ে পড়লে মোমরেজ তাকে কোলে করে তার চৌচালা টিনের ঘরে রেখে পালিয়ে যায়।
শেফালীর নাতনি তাজবিন আক্তার (১৩) বলেন, নানির অসুস্থতা দেখে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত বিশ্ব জাকের মঞ্জিল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রোববার ভোর ৫টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে তাহমিনা বাদী হয়ে সোমবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, শেফালীসহ তার স্বামী শফি খালাসীর তিনজন স্ত্রী রয়েছে। তিনি ছিলেন সবার ছোট। মোমরেজ খালাসীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে মোমরেজ মাঝেমধ্যে শেফালীর বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। এমনকি রাতেও অবস্থান করতেন। মোমরেজ খালাসী সম্পর্কে ওই গৃহবধূর দেবর এবং আগে থেকেই মোমরেজ খারাপ প্রকৃতির লোক।
এ ব্যাপারে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হাসান জানান, ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় ওই গৃহবধূর মেয়ে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৫
আরএ