ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, ০১ মে ২০২৫, ০৩ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

কুমিল্লায় বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৩০, এপ্রিল ২৮, ২০২৫
কুমিল্লায় বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু 

কুমিল্লায় বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে কুমিল্লার বরুড়া, মুরাদনগর ও দেবিদ্বার উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়। তারা হলো-পয়ালগাছা গ্রামের প্রয়াত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) ও আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন (১৩)। দুজনেই বড়হরিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে হালকা মেঘ থাকা সত্ত্বেও শিশুরা মাঠে ঘুড়ি ওড়াতে ব্যস্ত ছিল। হঠাৎ বজ্রপাত হলে দুই ছাত্র গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক  দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

বরুড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নু এমং মারমা মং বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপরদিকে কুমিল্লার মুরাদনগরে কৃষি জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। এ ঘটনার পর আহতরা শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।  

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশে এই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন-বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কোরবানপুর গ্রামের বীরচরণ দেবনাথের ছেলে নিখিল চন্দ্র দেবনাথ ও আন্দিকুট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভুঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভুঁইয়া।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে কৃষক নিখিল ও জুয়েল জমিতে ধান কাটার কাজ করতে যান। হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হয়ে বজ্রপাত শুরু হলে তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।  
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, কৃষিকাজ করতে গিয়ে কোরবানপুর গ্রামে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেবিদ্বারের সাহারপাড়ায় বাবার সঙ্গে কৃষিজমি থেকে ধান আনতে গিয়ে মীম আক্তার (১০) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়। মীম সাহারপাড়া গ্রামের ইমন মিয়ার মেয়ে। সে সূর্যপুর কোটকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।  

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সে বাবা ও নানার সঙ্গে জমি থেকে কাটা বোরো ধান আনতে যায়। এ সময় বৃষ্টি শুরু হয়। একপর্যায়ে পাশেই বজ্রপাত হলে বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে মারা যায় সে।  

দেবিদ্বার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। সরকার থেকে তারা পরিবারকে সহায়তা করা হবে।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।