ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তৃতীয় দিনের মতো দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলা সংঘর্ষে মিয়াজুল হোসেন (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের ১৫ জন।
বুধবার (১৪ মে) বিকেলে সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়নের চান্দের বাড়ি ও ছলিমের বাড়ি গোষ্ঠীর মধ্যে তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। নিহত মিয়াজুল চান্দের গোষ্ঠীর তোতা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ছলিমের বাড়ির শহিদ মিয়ার ছেলে চান্দের বাড়িতে বসে গত সোমবার রাতে কয়েকজনকে নিয়ে মাদক সেবন করছিলেন। এসময় চান্দের বাড়ির লোকজন তাতে বাধা দিলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ড হয়। একপর্যায়ে সোমবার রাতেই দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে চান্দের বাড়ি ও ছলিম বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন উভয়পক্ষের ১০/১২টি বাড়িতে ভাঙচুরে চালায় দাঙ্গবাজরা। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়।
এরই জেরে আজ বুধবার বিকেলে ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই গোষ্ঠীর লোকজন। এ সময় টেঁটা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। সংঘর্ষ চলাকালে ১০/১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সংঘর্ষটি গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে চান্দের বাড়ির মিয়াজুল নামে একজন গুরুতর আহত হলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন জানান, দীর্ঘদিনের গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরএ