লা লিগা শিরোপার আরেক ধাপ কাছে চলে এলো বার্সেলোনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস এক ‘এল ক্লাসিকো’তে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত এক জয় তুলে নেয় তারা।
ম্যাচের শুরুতেই আগুন ঝরান এমবাপ্পে। মাত্র ১৪ মিনিটেই জোড়া গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন। কিন্তু প্রথমার্ধের মধ্যেই বাজিমাত করে বার্সা—এরিক গার্সিয়া ও লামিন ইয়ামাল একটি করে এবং রাফিনহা করেন জোড়া গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে আবারও গোল করেন এমবাপ্পে, যা তার অভিষেক মৌসুমে রিয়ালের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলসংখ্যার রেকর্ড (মোট ৩৯ গোল)। এরপর ফেরমিন লোপেজ একবার জালে বল পাঠালেও হ্যান্ডবলের কারণে তা বাতিল হয়। উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচের শেষে ৪-৩ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
এই জয়ে তিন ম্যাচ হাতে রেখে রিয়ালের থেকে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গেল বার্সা।
ইন্টার মিলানের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হারের পর দলের কোনো পরিবর্তন না এনে কোচ হান্সি ফ্লিক দেখালেন আস্থা। শুরুতে কিছুটা ক্লান্ত দেখালেও বার্সা দ্রুত ফিরে পায় ছন্দ।
গোলরক্ষক ভয়েচেক সেজনি এমবাপ্পেকে ফাউল করলে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করেন ফরাসি তারকা। এরপর ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পাস থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি।
কিন্তু এরপর শুরু হয় বার্সার পাল্টা আক্রমণ। কর্নার থেকে গার্সিয়ার হেডে ব্যবধান কমে আসে। এরপর ১৭ বছরের লামিন ইয়ামাল দুর্দান্ত এক শটে সমতা ফেরান। মুহূর্ত বাদেই রাফিনহা গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। এরপর আবারও রাফিনহার গোল—বার্সার আধিপত্য নিশ্চিত করে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইয়ামাল আবারও বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। পরে এমবাপে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরে আসে। শেষ মুহূর্তে রাফিনহার একটি সহজ সুযোগ মিস এবং রিয়ালের তরুণ ভিক্টর মুনিওজের ভুলে আর সমতা ফেরাতে পারেনি রিয়াল।
চলতি মৌসুমে এটি বার্সার রিয়ালের বিপক্ষে চতুর্থ জয়—লা লিগা, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও কোপা দেল রের ফাইনালে আগেই জিতেছিল তারা।
রিয়াল এই মৌসুমে ক্লাসিকোতে মোট ১৬ গোল হজম করেছে—যা তাদের রক্ষণভাগের দুরবস্থার পরিচয় দেয়। অপরদিকে, বার্সার উন্নতি চোখে পড়ার মতো।
আগামী বৃহস্পতিবার এস্পানিওলের বিপক্ষে জয় পেলেই নিশ্চিত হবে বার্সার লিগ শিরোপা। অন্যদিকে, রিয়াল মায়োর্কার বিপক্ষে হেরে গেলে আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে বার্সা।
এমএইচএম/এমএম