ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ২০২৫ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে বিসিসিআই (ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড)।
এই সিদ্ধান্ত আসে বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই।
খেলা বন্ধের পর, স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং খেলোয়াড়দের হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে ধর্মশালা থেকে দিল্লি পর্যন্ত খেলোয়াড়, স্টাফ ও সম্প্রচারকর্মীদের সরিয়ে নিতে একটি বিশেষ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।
যুদ্ধাবস্থায় সেরা সিদ্ধান্ত: গাঙ্গুলী
আইপিএলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার ও সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “দেশে যুদ্ধের মতো অবস্থা, এবং এত ভারতীয় ও বিদেশি খেলোয়াড়কে নিয়ে এই মুহূর্তে খেলা চালিয়ে যাওয়া নিরাপদ নয়। বিসিসিআই ঠিক কাজটিই করেছে। আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে এবং আইপিএল ফের শুরু হবে, কারণ প্রতিযোগিতার এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপে পৌঁছে গেছি আমরা। ”
ধর্মশালা-চণ্ডীগড়-জয়পুর: স্পর্শকাতর ভেন্যুতে সতর্কতা জরুরি
বিসিসিআই জানায়, স্থগিতাদেশ মূলত নিরাপত্তাজনিত সতর্কতার অংশ, কারণ ধর্মশালা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, জয়পুরসহ একাধিক ভেন্যু বর্তমানে সংবেদনশীল বলে চিহ্নিত।
গাঙ্গুলীও বলেন, “এই পরিস্থিতিতে বিসিসিআইয়ের এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত যৌক্তিক। সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি উন্নত হবে, আবার ম্যাচও শুরু হবে। বিসিসিআই আইপিএল শেষ করবে—এটা নিশ্চিত। আর পাকিস্তান এই চাপ বেশিদিন নিতে পারবে না। ”
আন্তর্জাতিক বিকল্প: ইংল্যান্ডে আয়োজনের প্রস্তাব
এই পরিস্থিতিতে, ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ইংল্যান্ডে আইপিএলের বাকি ম্যাচ আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে ইংল্যান্ড নিজেদের ঘরোয়া দর্শক-আকর্ষণেও নতুন সম্ভাবনা দেখছে।
হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সঞ্জয় শর্মা বলেন, “গতকাল যে নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে ম্যাচ বন্ধ হয়েছিল, সেটি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক সমন্বয়ের মধ্য দিয়েই হয়েছে। ”
এখন আইপিএলের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে কূটনৈতিক পরিবেশ কত দ্রুত স্বাভাবিক হয়, তার ওপর।
এমএইচএম