ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বস্তা খুলতেই মিলল নিখোঁজ শিশু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৩
বস্তা খুলতেই মিলল নিখোঁজ শিশু শিশু হুমায়রা: ফাইল ফটো

ঢাকা: ঢাকার সাভারের আশুলিয়া জিরাবো পুকুরপাড় ইগনাইট স্কুলের পেছনের গলি থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় হুমাইরা (২ বছর ৮ মাস) নামে এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় শিশুটির গলায় গামছা পেঁচানো ছিল।

উদ্ধার হওয়া মুমূর্ষু শিশুটিকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিশুটির পরিবার জানায়, শিশু হুমাইরা সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ হয়। পরে বাসার কিছুটা দূরে দুপুর আড়াইটার দিকে বস্তার ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। সে সময় হুমাইরার গলায় গামছা পেঁচানো ছিল।

শনিবার (২৪ জনু) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে ভর্তি করে।

শিশু হুমায়রা আরও দুই ভাই আছে। তার বাবার তরকারি বিক্রেতা আজিজুল ইসলাম, মা জোসনা আক্তার। তারা আশুলিয়া জিরাবো পুকুর পাক রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকে।

শিশুটির বাবা-মা বলেন, সকালে বাসার দুয়ার থেকে সে নিখোঁজ হয়। এলাকায় মাইকিংয়ের পাশাপাশি অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর না পেয়ে এক পর্যায়ে সংবাদ পাওয়া যায়,ওই স্কুলের পেছনে একটি সরু গলিতে বস্তার ভেতর গলায় গামছা বাঁধা অবস্থায় হুমায়ারাকে লোকজন উদ্ধার করে। দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয় পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।  

তারা আরও বলেন, আমাদের প্রতিবেশী এক নারীর নাম শাহিনা। প্রায় সময় তার সঙ্গে আমাদের ঝগড়া হতো। এর আগেও আমাদের আত্মীয় দুই শিশুর শরীরের ছ্যাঁকা দিয়েছিল সেই শাহিনা। ছ্যাঁকার একটি ঘটনা অনেক আগে হলেও গত পরশুদিনও একই ঘটনা আবার ঘটে। এটি নিয়ে শাহিনার সঙ্গে ব্যাপক ঝগড়া হয়। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে, ঝগড়াকে কেন্দ্র করেই সেই শাহীনা আমার শিশু সন্তান হুমাইরাকে হত্যা করার জন্য গলায় গামছা পেঁচিয়ে বস্তায় ভরে রাস্তায় ফেলে দেয়।

এদিকে হাসপাতালে ইগনাইট স্কুলের শিক্ষক জয়নাল আবেদীন তুহিন জানান, স্কুলের পিছনে শরু গলিতে একটি প্লাস্টিকের সাদা বস্তা দেখতে পায় টোকাইরা। পরে সেটি স্কুলের সামনে নিয়ে আসলে বস্তার ভেতর দেখা যায় একটি শিশু। তার গলায় গামছা দিয়ে গিট দেওয়া। পরে আমরা সঙ্গে সঙ্গে গলার গামছার গিট খুলে মুখের সাহায্যে শিশুকে অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করি। তারপরে দেখা যায় শিশুটি একপর্যায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। এর মধ্যেই শিশুটির পরিবার সেখানে উপস্থিত হয়। তখনই দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে।

ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস সেন্টারের দায়িত্বরত চিকিৎসক এসএম তাওহিদ বিল্লাহ জানান, শিশুটিকে শ্বাসরোধের চেষ্টা করা হয়েছে বলে বুঝা যাচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এদিকে হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৩
এজেডএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।