ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুমিল্লায় নৌকার প্রচারণায় সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
কুমিল্লায় নৌকার প্রচারণায় সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রতীকী ছবি

কুমিল্লা: কুমিল্লা-১০ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রচারণার সংবাদ সংগ্রহকালে এক সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মন্ত্রীর ছোট ভাই ও সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ারের বিরুদ্ধে।  

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে জেলার লালমাই উপজেলার হাজতখোলা বাজার এলাকায় ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

গোলাম সারওয়ার কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিও। এক সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তিনি আরেক সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।  

গোলাম সারওয়ারকে সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, সাংবাদিকের এত ভিডিওর দরকার নাই। সারাক্ষণ খালি ছবি তোলা আর ভিডিও করা, আর কোনো কাজ নেই? আমরা ছবি তুলতে ঢাকা থেকে লোক এনেছি।  

যার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তিনি লালমাই বার্তার স্টাফ রিপোর্টার কাজী নিমেল। তার সঙ্গে দৈনিক আমাদের কুমিল্লার লালমাই প্রতিনিধি গাজী মামুনের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী দৈনিক কালের কণ্ঠের লালমাই প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, অর্থমন্ত্রীর কন্যা লালমাইয়ে নৌকার প্রচারণায় এসেছেন। তাই আমরা লালমাই উপজেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য হাজতখোলা বাজারে আসি। সবাই ভিডিও করছিলেন। আমি পাশে দাঁড়ানো। এমন সময় অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই গোলাম সারওয়ার এসে এক সাংবাদিকের ক্যামেরা নিয়ে নেন এবং আরেকজন সাংবাদিকের ক্যামেরা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তিনি ক্যামেরা ফেরত দেন।

এ বিষয়ে গোলাম সারওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, কোনো সাংবাদিককে আমি চিনিও না, আর কোনো সাংবাদিকের ক্যামেরা আমি নিইনি। পারলে প্রমাণ করুন।

সাংবাদিক গাজী মামুন বলেন, আমি পাঁচ বছর সাংবাদিকতা করি। চেয়ারম্যানের নিউজ বেশি করেছি। তিনি আমাকে না চেনার কথা নয়। তিনি এমন কেন করলেন বুঝতে পারলাম না।

এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌমিতা দাশ বলেন, সাংবাদিকের ক্যামেরা নেওয়ার বিষয়টি আমি এইমাত্র জানলাম, ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে আমি বিষয়টি দেখব।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।