ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মা সেতুর রেললাইন উদ্বোধন

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সাধারণ মানুষের অপেক্ষা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সাধারণ মানুষের অপেক্ষা

মাদারীপুর: পদ্মা সেতুর পর রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে রেল চলাচলের মধ্য দিয়ে।  

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর রেলপথে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন।

ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী।  

প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে স্বাগত জানাতে মাদারীপুর জেলার শিবচরের পদ্মা রেল স্টেশন থেকে শিবচর স্টেশন পেরিয়ে আড়িয়াল খাঁ নদের সেতু পর্যন্ত শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সড়কে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল সীমিত রয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের রেললাইন সংলগ্ন সড়কে অবস্থানের জন্য প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে।  

এছাড়াও সাধারণ মানুষ, কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাঙ্গা জনসমাবেশে যেতে দেখা গেছে। শিবচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা এক্সপ্রেসওয়েতে হাজির হচ্ছেন। শিবচরের পাঁচ্চর রেল লাইন সংলগ্ন সড়কে এসে জড়ো হচ্ছে নানা শ্রেণীপেশার মানুষ। স্লোগানে মুখর হয়ে উঠছে চারপাশ।

মো. জাকির নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, পদ্মা সেতুর পর রেল উদ্বোধন হবে আজ। শিবচরবাসী হিসেবে আমরা আনন্দিত। কারণ, পদ্মা সেতু হওয়ার পরে আমাদের দুর্ভোগ-কষ্ট দূর হয়েছে। এবার ট্রেনে করেও আমরা ঢাকা যেতে পারবো। ঢাকা যাওয়ার একাধিক অপশন চালু হলো।

শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম বলেন, রেল উদ্বোধন ঘিরে শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগ নানা প্রস্তুতি নিয়েছে। শিবচরের পদ্মা ও শিবচর স্টেশন, রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় অসংখ্য ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। নৌকার প্রতিকৃতি টাঙানো হয়েছে। শিবচরের রেললাইনের পুরো এলাকায় কয়েক হাজার ফেস্টুন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়াও রেললাইনের দুই পাশে, যেখানে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকবে এবং আড়িয়াল খাঁ সেতুসহ রেললাইনের পাশে আমাদের নেতাকর্মী-সমর্থকেরা দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাবে। এসময় রঙিন টি-শার্ট, ক্যাপ পরিধান করে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি করতে সচেষ্ট থাকবে সবাই। তবে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আমাদের আনন্দ কিছুটা ম্লান হতে পারে। আমরা উভয় দিক বিবেচনা করেই রেল উদ্বোধনকে উৎসবে পরিণত করবো। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকেই আমাদের কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।